সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পয়েন্ট টু পয়েন্ট : মুসলমানদের মিথ্যাচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব



পয়েন্ট টু পয়েন্ট : মুসলমানদের মিথ্যাচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব




ফটো হিসেবে এই প্রবন্ধের সাথে যেটা যুক্ত করেছি, তার জবাব দেওয়া ই আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য। তাই কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক:

ফটোপোস্টের শুরুতেই লিখা হয়েছে,

সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই, কোন প্রতিমূর্তি নেই, কোন প্রতিকৃতি নেই, কোন রূপক নেই, কোন ফটোগ্রাফ নেই, তাঁর কোন ভাস্কর্য নেই।

এর রেফারেন্স হিসেবে লিখা হয়েছে,

শ্বেতাসত্র উপনিষদ, অধ্যায় ৪, পরিচ্ছেদ ১৯ এবং যযুর্বেদ অধ্যায় ৩২, অনুচ্ছেদ ১৯।

এবার দেখা যাক, সত্যিই সেখানে কী লিখা আছে এবং তার প্রকৃত অনুবাদটা কী ?

রেফারেন্স হিসেবে প্রথম বইয়ের নাম লিখা হয়েছে, “শ্বেতাসত্র উপনিষদ”, কিন্তু এর নাম প্রকৃতপক্ষে শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ”, লিখেছে তো কোনো এক মুসলমান, তার কাছ থেকে আপনি আর কত শুদ্ধ বানান আশা করতে পারেন ? রেফারেন্সের বাকি অংশে লিখা হয়েছে- অধ্যায় ৪, পরিচ্ছেদ ১৯”, অধ্যায় ৪ ঠিক থাকলেও এই উপনিষদে অনুচ্ছেদ বলে কিছু হয় না, এটি হবে আসলে শ্লোক নং ১৯। শুধু এই রেফারেন্সেই নয়, প্রতিটি রেফারেন্সেই দেখবেন কিছু না কিছু উল্টা পাল্টা আছেই। যে মুসলমানরা একটা রেফারেন্স ঠিক মতো দিতে পারে না, সেই মুসলমানরা যে এই সব সংস্কৃত শ্লোকের অর্থ ঠিক মতো বুঝতে পারবে বা দিতে পারবে, আপনি সেই আশা করছেন কিভাবে ? যা হোক, এই রেফারেন্সে গিয়ে পাওয়া গেলো, মুসলমানদের সেই বিখ্যাত ব্রহ্মাস্ত্র নয় আল্লাস্ত্র,

ন তস্য প্রতিমা অস্তি যস্য নাম মহদযশ”,

এর অর্থ হিসেবে তারা যা লিখেছে তা তো উপরেই উল্লেখ করেছি এবং ফটোপোস্টেও দেখতে পাচ্ছেন; এবার দেখা যাক, এই একই বিষয়ের দ্বিতীয় রেফারেন্স এর কী অবস্থা ?

দ্বিতীয় রেফারেন্স হিসেবে তারা উল্লেখ করেছে, “যযুর্বেদ অধ্যায় ৩২, অনুচ্ছেদ ১৯।

এখানে যযুর্বেদবানানটাও ভুল, এটা হবে যজুর্বেদ’, এছাড়া মুসলমানরা হয়তো জানেই না যে, ‘যজুর্বেদএকটা নয়, দুইটা- শুক্লযজুর্বেদকৃষ্ণযজুর্বেদ’, তাই এই রেফারেন্সটা কোন যজুর্বেদথেকে নেওয়া হয়েছে, সেটা তারা উল্লেখ করতে পারে নি। আর পারবেই বা কিভাবে, তারা কি বেদ ঘেঁটে এসব লিখেছে ? তারা তো এসব লিখেছে জাকির নায়িকার কোনো বক্তব্য শুনে বা বক্তব্যের বই দেখে, তাই জাকির যা বলেছে, তারা তাই লিখে দিয়েছে, ফলে যা হবার তাই হয়েছে, ভুলে ভরা কোরানের মতো হয়েছে ভুলে ভরা রেফারেন্স।

যা হোক, এই রেফারেন্সটা কোন যজুর্বেদথেকে নেওয়া হয়েছে, সেটা মুসলমানরা বলতে না পারলেও আমি বলছি, এটা নেওয়া হয়েছে, “শুক্লযজুর্বেদএর ৩২ নং অধ্যায়ের ৩ নং অনুচ্ছেদ থেকে নয়, ৩ নং মন্ত্র থেকে । কারণ, শুক্লযজুর্বেদ এর অধ্যায় এর পর অনুচ্ছদে হয় না, হয় মন্ত্র।

যা হোক, এই মন্ত্রের অর্থ মুসলমানরা কী করেছে, সেটা তো জানেন; কিন্তু এই মন্ত্রের অর্থ হিসেবে- কোলকতার হরফ প্রকাশনী, যার মালিক একজন মুসলমান, তার প্রকাশিত বেদ এ, এর অনুবাদ দেওয়া আছে,

এ পুরুষের তুলনা দেবার কোনো বস্তু নেই। তার মহৎ যশ আছে।

যেহেতু এই শ্লোকের মধ্যে প্রতিমা বলে একটা শব্দ আছে, সেহেতু মুসলমানরা এর অনুবাদ করে, “ঈশ্বরের কোনো প্রতিমা নেই”, তাহলেও এতে কোনো ভুল নেই; কারণ, হিন্দুরা যাকে ঈশ্বর বলে মনে করে সেই পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মের তো কোনো প্রতিমা নেই ই। ব্রহ্মের তিনটা রূপ- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের মূর্তি আছে, আছে আরো অন্য দেব-দেবীর, কিন্তু ব্রহ্মের কি কোনো মূর্তি আছে ? ব্রহ্মের তো কোনো মূর্তি বা প্রতিমা নেই। তাহলে তো তা ঠিকই আছে, বেদ এর নির্দেশকে মেনে হিন্দুরা ব্রহ্ম বা ঈশ্বরের কোনো মূর্তি তৈরি করে নি।

কিন্তু এর বিপরীতে ইসলামের অবস্থা কী, সেটা এবার দেখা যাক :

মুসলমানরা জোর গলায় বলে যে, আল্লা নিরাকার। কিন্তু আল্লা যে নিরাকার নয়, তার বহু প্রমান কোরান হাদিসে আছে, কয়েকটির উদারহণ দিচ্ছি-

কোরানের ৬৯/১৩-১৮ আয়াতে বলা আছে,

পরে যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। তখন ভূতল ও পর্বতরাশিকে উপরে তুলে একই আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেওয়া হবে।...সেই দিন আকাশ দীর্ণ বিদীর্ণ হবে এবং তার বাঁধন শিথিল হয়ে পড়বে। ফেরেশতাগণ তার আশ পাশে উপস্থিত থাকবে। আর আটজন ফেরেশতা সেই দিন তোমার রবের আরশ নিজেদের উপর বহন করতে থাকবে।

এই সূরা অনুযায়ী, এটা বোঝা যায় যে, কেয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত আল্লা সপ্তম আসমানের উপর স্থাপিত একটি সিংহাসন, যার ইসলামিক নাম আরশ, তাতে বসে থেকে পৃথিবীসংশ্লিষ্ট সবকিছুর পরিচালনা করে। আবার শব-ই-বরাতের রাতে আল্লা নাকি সেই সপ্তম আসমান থেকে নেমে প্রথম আসমানে আসে এবং হকারের মতো নাকি চিৎকার করে বলতে থাকে যে, “কে আছো ক্ষমা প্রা্র্থনাকারী, আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেবো, ইত্যাদি ইত্যাদিএটা শব-ই-বরাতের রাতের মহিমা বোঝানোর জন্য মুসলমানদের বহুল প্রচারণা থেকেই শোনা, তাই এটার আর রেফারেন্স দিলাম না। ঘটনা যদি তাই হয়, তাহলে আল্লা শুধু শব-ই-বরাতের রাত বাদ দিয়ে সারা বছর সপ্তম আসমানে একটি আরশের উপর বসে থাকে, যে সপ্তম আসমান কেয়ামতের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে আল্লা সমেত, আল্লার সেই আরশ, ৮ জন ফেরেশতা বহন করবে বলে কোরানের ৬৯/১৩-১৮ আয়াতে বলা আছে। এই প্রেক্ষাপটে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যে আল্লা, আরশ নামের কোনো সিংহাসনে বসে থাকে, সে নিরাকার হয় কিভাবে ?

শুধু এখানেই শেষ নয়, মুসলিম হাদিসের ৪০/৬৮০৯ ও ৩২/৬২৩৫ এবং বুখারির ৪/৫/৫৪৩ নং হাদিসে বলা হয়েছে যে, আল্লা ৬০ হাত বা ৯০ ফুট লম্বা।

নিরাকার আল্লা ৬০ হাত বা ৯০ ফুট লম্বা হয় কিভাবে ?

আল্লা যে ৬০ হাত বা ৯০ ফুট লম্বা, এই কাহিনীর উৎস হলো, হাদিসে বলা আছে, প্রথম মানব আদম ছিলেন ৬০ হাত বা ৯০ ফুট লম্বা, আর আল্লা, নিজের আদলে মানব আদমকে সৃষ্টি করেছেন (সহীহ মুসলিম, ২৮৭২), সেই হিসেবে আল্লা ৬০ হাত বা ৯০ ফুট লম্বা।

আল্লা যদি নিরাকার ই হয়, তাহলে ইসলামে আল্লার এই রূপের স্বীকৃতি কেনো ?

বেদ এ ঈশ্বরের কোনো রূপের বর্ণনা দেওয়া নেই এবং যেহেতু বলা আছে, যে ঈশ্বরের কোনো রূপ বা প্রতিমা নেই, সেহেতু হিন্দুরা ঈশ্বর বা ব্রহ্মের কোনো প্রতিমা নির্মান করে নি। অন্য দেব-দেবতার যেহেতু আকার আকৃতির বর্ণনা দেওয়া আছে, সেহেতু হিন্দুরা তাদের রূপ অনুযায়ী তাদের মূর্তি নির্মান করেছে, এটা হিন্দুরা পারে বলেই করেছে, কিন্তু মুসলমানরা যেহেতু শিল্পসংস্কৃতি বর্জিত একটি বর্বর জাতি এবং এজন্য যেহেতু তাদের কোনো কিছু নির্মান বা গড়ার কল্পনা শক্তি নেই, সেহেতু তারা কোরান হাদিসে আল্লার স্পষ্ট রূপের বর্ণনা থাকা সত্ত্বেও প্রচার করে যে, আল্লা নিরাকার, যাতে তাদেরকে আল্লার মূর্তি বানানোর মতো কষ্ট স্বীকার না করতে হয়।

মুসলমানদের বলছি, হিন্দুরা একটি সৃষ্টিশীল জাতি, যদি তোরা বলিস, কোরান হাদিসের বর্ণনা মতো, তোদেরকে একেবারে বিনা পয়সায় আল্লার মূর্তি তৈরি করে দেবো, তাকে মসজিদের ভেতর স্থাপন করে তার উদ্দেশ্যে প্রা্র্থনা করিস; কেননা, এটা অনেক মুসলমানেরই উপলব্ধি যে, হিন্দুদের তো সামনে মূর্তি থাকে, যার সামনে বসে তারা পূজা প্রার্থনা করে, আমাদের সামনে কী থাকে, কার উদ্দেশ্যে আমরা প্রার্থনা করি ? এর মানে হলো- কোনো কিছুর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করার জন্য হিন্দুদের সামনে কিছু থাকে, মুসলমানদের সামনে তো সেটাও থাকে না।

এরপর ফটোতে বলা হয়েছে, “যেসব লোক যাদের বিচারবুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে জাগতিক আকাঙ্ক্ষা, তারাই মূর্তি পূজা করে।রেফারেন্স হিসেবে বলা হয়েছে ভগবদগীতা, অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০

যদিও রেফারেন্স হিসেবে লিখা হয়েছে, “অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ কিন্তু এটা হবে আসলে অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ এর পরিবর্তে শ্লোক নং ২০। কারণ, গীতাকে বিন্যস্ত করা হয়েছে অধ্যায় এবং শ্লোকে, এর মধ্যে অনুচ্ছেদ বলে কিছু নেই।

যা হোক, এই শ্লোকের অর্থ হিসেবে ইসকন প্রকাশিত গীতায় বলা হয়েছে,

জড় কামনা বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে।

এই শ্লোকের দ্বারা গীতায় মূ্র্তি পূজাকে যে নিষিদ্ধ করা হয় নি, নিরুৎসাহিত করা হয়েছে মাত্র, সেটা একটু পরেই বুঝতে পারবেন। তার আগে এই শ্লোকের আসল অর্থটা আপনাদের কাছে একটু পরিষ্কার করি।

এই শ্লোকে বলা হচ্ছে, “জড় কামনা বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয়”- এখানে জ্ঞান মানে ক্ষমতা, যে ক্ষমতার দ্বারা কাউকে উপলব্ধি করা যায়, কারো কাছে পৌঁছানো যায়। এখন আপনি কল্পনা করুন, আপনি গ্রামের একজন সাধারণ মানুষ, আপনার পক্ষে কি কোনোভাবে, একাকি, সরাসরি, দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছানো সম্ভব ? সম্ভব নয়। যদি তার সাথে দেখা করার বিশেষ কোনো কারন আপনার কাছে থাকে এবং সেজন্য আপনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে আপনার গ্রামের বা ইউনিয়নের সরকারীদলের কোনো পাতিনেতার দ্বারস্থ হতে হবে, সেই পাতিনেতা আপনাকে নিয়ে যাবে থানার নেতার কাছে, থানার নেতা নিয়ে যাবে জেলার নেতার কাছে, জেলার নেতা নিয়ে যাবে কোনো মন্ত্রীর কাছে, সেই মন্ত্রী নিয়ে যাবে কোনো প্রভাবশালী মন্ত্রীর কাছে, এবং তার পর প্রধানমন্ত্রী চাইলে তার সাথে আপনার দেখা হতে পারে।

হিন্দু ধর্মের ঈশ্বর হলো, এই প্রধানমন্ত্রীর মতো, যার ভক্ত হওয়া সহজ, যার গুণগান করা সহজ, কিন্তু যার কাছে পৌঁছানো সহজ নয়, তার কাছে পৌঁছতে হলে আপনাকে জ্ঞানে বিশেষ ক্ষমতাবান হতে হবে, এককথায় ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিন্তু সকলের পক্ষে কি সেই ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করা সম্ভব ? সম্ভব নয়। তাহলে এই ব্রহ্মজ্ঞান অর্জনের পথ বা ঈশ্বরকে পাওয়ার পথটা কী ? এই পথই হলো নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধি অনুসারে বিভিন্ন দেব-দেবীর কাছে নিজেকে নিবেদন করে তার পূজা করা, যার স্বীকৃতি পরমেশ্বর দিয়ে রেখেছেন, গীতার ৭/২১ নং শ্লোকে,

"যো যো যাং যাং তনুং ভক্ত শ্রদ্ধয়ার্চিতুমিচ্ছতি।
তস্য তস্যাচলং শ্রদ্ধাং তামেব বিদধাম্যহম।।"

এর অর্থ, পরমাত্মারূপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি। যখন কেউ দেবতাদের পূজা করতে ইচ্ছা করে, তখনই আমি সেই সেই ভক্তের, তাতেই অচলা শ্রদ্ধা বিধান করি।

স্বল্পজ্ঞানীদের পক্ষে করা এই মূর্তি পূজা যে বৃথা নয় এবং এই মূর্তি পূজার ফল যে, স্বয়ং ঈশ্বরই তার ভক্তকে প্রদান করে, সে কথা বলা আছে গীতার ৭/২২ নং শ্লোকে,

"স তয়া শ্রদ্ধয়া যুক্তস্তস্যারাধনমীহতে।
লভতে চ ততঃ কামান্ময়ৈব বিহিতান্ হিতান্।"

এর অর্থ, সেই পুরুষ শ্রদ্ধাযুক্ত হয়ে যেই দেব বিগ্রহের পূজায় তৎপর হন এবং সেই দেবতার মাধ্যমে আমারই দ্বারা বিহিত কাম্য বস্তু অবশ্য লাভ করেন।

এখানে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, যে ব্যক্তি যে দেবতার পূজাই করুক, সে আমার দ্বারাই তার ফল লাভ করে। এখানেও দেবতাদের পূজাকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।

কিন্তু এই দেব পূজার ফল যে অস্থায়ী, সে কথা বলা হয়েছে গীতার ৭/২৩ নং শ্লোকে এবং এই ৭/২০-২৩ নং শ্লোকের মাধ্যমে এই কথাও বলে দেওয়া হয়েছে যে, না জানা বা অল্পবুদ্ধির কারণে অন্য দেব-দেবীর পূজাকে স্বীকার করে নেওয়া হলেও চরম লক্ষ্য বা মোক্ষপ্রা্প্তির জন্য একমাত্র ঈশ্বরকেই ভজনা বা তার কাছে প্রার্থনা করতে হবে, কিন্তু যাদের কাছে সেই ব্রহ্মজ্ঞান নেই বা যাদের এখনও সেই জ্ঞান অর্জন হয় নি, প্রধানমন্ত্রী রূপ ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোর জন্য নেতা বা পাতিনেতা রূপ দেব-দেবীর আশ্রয় তাদেরকে নিতেই হবে। কারণ, পৃথিবীর সকল মানুষ যেমন সমান জ্ঞান ও ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নেয় না, তেমনি এক জন্মে সকল মানুষের পক্ষেও ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়। জন্ম জন্মান্তর ধরে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করতে করতে কোনো এক জন্মে হয়তো ব্রহ্মজ্ঞান অর্জিত হবে এবং সেই জ্ঞান দ্বারা পরমেশ্বরের কাছে পৌঁছানো যাবে, যেমন নদী এঁকে বেঁকে বিভিন্ন পথ ধরে কোনো না কোনো এক সময় সমুদ্রে পৌঁছেই যায়।

এরপর মুসলমানরা লিখেছে, “সত্য একটাই। ঈশ্বর একজনই।

রেফারেন্স হিসেবে লিখেছে- ঋগবেদ, গ্রন্থ ১, পরিচ্ছদ ১৬৪, অনুচ্ছেদ ৪৬”;

এখানে ঋগবেদবানানটাও ভুল, হবে ঋগ্বেদভুল বানানের পর এবার রেফারেন্সের বিন্যাস টা দেখুন, ঋগ্বেদে গ্রন্থ ১ বলে কিছু হয় না; কারণ, পুরো ঋগ্বেদ ই একটা গ্রন্থ; সেখানে লিখা হয়েছে, “ঋগবেদ, গ্রন্থ ১, পরিচ্ছদ ১৬৪, অনুচ্ছেদ ৪৬”, যার পুরো বিন্যাসটাই ভুল; ঋগ্বেদের বিন্যাস হয় এভাবে- মণ্ডল>সূক্ত>ঋক বা শ্লোক; এখানে পরিচ্ছদ বা অনুচ্ছেদ বলে কিছু নেই। যা হোক, যে রেফারেন্স তারা দিয়েছে, কষ্ট করে সেখানে পৌঁছে অর্থাৎ ঋগ্বেদের- ১ম মণ্ডলের ১৬৪ নং সূক্তের ৪৬ নং ঋক বা মন্ত্র যেটি পাওয়া গেলো, যার উপর মুসলমানরা ফোকাস করেছে, তা হলো-

একং সদ্বিপ্রা বহুধা

হরফ প্রকাশনীর বেদ এ এর অর্থ লিখা আছে, “তিনি এক হলেও বহু।কিন্তু মুসলমানরা এই শ্লোকের আংশিক অর্থের সাথে কিছু মিথ্যে মিশিয়ে প্রকাশ করে বলেছে,

সত্য একটাই। ঈশ্বর একজনই।

সত্য তো একটাই। যেমন মানুষের ধর্ম হলো সনাতন মানব ধর্ম। আর যে সব ব্যক্তিগত মতবাদ ধর্মের নামে চলছে, সে সবই তো মিথ্যা। এখানে তারা আরো বলেছে, “ঈশ্বর একজনই”, ঈশ্বর তো একজনই, হিন্দুরা আবার কবে বললো যে, ঈশ্বর একাধিক ?

সেমিটিক ধর্মগুলো অর্থাৎ ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলামে একত্ববাদের ধারণা এসেছে যার মাধ্যমে সেই ইব্রাহিমের জন্ম খ্রিষ্টপূর্ব ২৩২০ সালে অর্থাৎ বর্তমান থেকে প্রায় ৪৩০০ বছর আগে, কিন্তু হিন্দু ধর্মে একত্ববাদের কথা বলা হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৮/১০ হাজার বছর আগে ঋগ্বেদের এই শ্লোকের মাধ্যমে-

একমেবাদ্বিতীয়ম

এর অর্থ - পরমেশ্বর এক ও অদ্বিতীয়।

এখন মুসলমানরা নিজেদের মূর্খামির জন্য এটা মনে করে যে, হিন্দুরা বহু ঈশ্বররূপে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে, ওরা যদি এটা মনে করে তাহলে আমাদের কী করার আছে ? হিন্দুরা ঈশ্বর হিসেবে একজনকেই মানে আর সেই ঈশ্বরেরই বিভিন্ন রূপ হিসেবে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে। যেমন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছামতোই দেশ পরিচালিত হলেও- মন্ত্রীপরিষদ, সচিবালয়সহ ইউনিয়ন বা পঞ্চায়েত পর্যন্ত পর্যায়ের প্রশাসন ছাড়া তার একার পক্ষে যেমন দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়; তেমনি, ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই সব কিছু পরিচালিত হলেও এই পরিচালনার পেছনে মন্ত্রী বা সচিব রূপ দেব-দেবীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যেমন ইসলামের আল্লাও তার নিয়োজিত বিভিন্ন ফেরেশতার মাধ্যমে তার কাজ পরিচালনা করে থাকে, কিন্তু মুসলমানরা সেই সব ফেরেশতাকে তেমন মূল্যায়ন করে না বা সম্মান দেয় না, তারা শুধু এক আল্লার এবাদত করে, যেটা সম্পূর্ণ অবাস্তব; যেমন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে হবে, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে লাভ নেই; এজন্যই হিন্দুরা- শিক্ষা, ধন- এরকম এক এক সেক্টরের উন্নতির জন্য এক এক দেব-দেবীর মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, ইসলামে এই ব্যবস্থা নেই বলেই ইসলাম সমম্পূর্ণ অবাস্তব।

এবারে যে তথ্যটা দেবো, তাতে পাবেন ভীষণ মজা; কারণ, মুসলমানরা যেমন মাছের গায়ে, মাংসের টুকরায় গাছপালা বা লতা পাতায় আল্লা লেখা দেখতে পায়, এর পাল্টা হিসেবে নাস্তিকরা কাফেরা যেমন আল্লা লেখা দেখতে পায় মেয়েদের নগ্ন ব্রেস্ট বা পাছায়, তেমনি মুসলমানরা বিভিন্ন সংস্কৃত শব্দের মধ্যেও লুক্কায়িত আল্লাকে দেখতে পায়, যেটা একটু পরেই আপনারা বুঝতে পারেন; কেননা, ফটো পোস্টে দাবী করা হয়েছে যে, “ঋগবেদ-এ ঈশ্বরএর অন্য নাম আল্লাহদেওয়া আছে”, আর এর রেফারেন্স হিসেবে দেওয়া আছে, “ঋগবেদ, গ্রন্থ ২ পরিচ্ছেদ ১, অনুচ্ছেদ ১১; ঋগবেদ, গ্রন্থ ৩ পরিচ্ছেদ ৩০, অনুচ্ছেদ ১০; ঋগবেদ, গ্রন্থ ৯ পরিচ্ছেদ ৬৭, অনুচ্ছেদ ৩০

রেফারেন্সের- গ্রন্থ, পরিচ্ছেদ ও অনুচ্ছেদ- নিয়ে তো আগেই কথা বলেছি, কোরানের মতো তাই একই কথার আর পুনরাবৃত্তি করতে চাই না; দেখা যাক সেই রেফারেন্সগুলোতে আসলে কী বলা হয়েছে ?

প্রথম রেফারেন্স, ‘২য় মণ্ডলের সূক্ত ১ এর ১১ নং ঋক বা শ্লোকএখানে মুসলমানরা

ত্বমিলা শতহিমাসি দক্ষসে……”

এই শ্লোকের ত্বমিলাশব্দের মধ্যে আল্লাকে খুঁজে পেয়েছে, কেননা, ‘ত্বমিলাশব্দের শেষ ধ্বনিটি লাবা এর মধ্যে ইলাধ্বনিটি রয়েছে! এই লা বা ইলা ই মুসলমানদের কাছে আল্লা এবং এর উপর ভিত্তি করেই মুসলমানরা বলেছে, “ঋগবেদ-এ ঈশ্বরএর অন্য নাম আল্লাহদেওয়া আছে”, মুসলমানরা এই লা বা ইলাকে আল্লা ধরে নিতে পারে, কিন্তু হিন্দুরা এই লা বা ইলাকে ঈশ্বর মনে করে না; হিন্দু শাস্ত্রে ইলা, হিন্দু শাস্ত্র মতে মানব জাতির আদি পুরুষ মনুর মেয়ে হিসেবে পরিচিত।

এবার দেখা যাক দ্বিতীয় রেফারেন্সে মুসলমানরা কোন শব্দের মধ্যে আল্লাকে খুঁজে পেয়েছে ?

২য় রেফারেন্সটি হলো- ৩য় মণ্ডলের ৩০ নং সূক্তের ঋক নং ১০এখানে ২ চরণ বিশিষ্ট শ্লোকের প্রথম লাইনে বলা আছে,

অলাতৃণো বল ইন্দ্র ব্রজো গোঃ পুরা হন্তোর্ভয়মানো ব্যার

এর অর্থ যা ই হোক, মুসলমানদের টার্গেট এই লাইনের প্রথম শব্দ অলাতৃণোএর উপর; আল্লা শব্দের সাথে যেহেতু এর সামান্য পরিমান ধ্বনিগত মিল আছে, সেহেতু মুসলমানরা ধরে নিয়েছে এখানে ঈশ্বরের অন্য নাম হিসেবে আল্লা দেওয়া আছে! এখানে অলাতৃণোশব্দের অর্থ বিশ্লিষ্ট হওয়াএবং পুরো লাইনটির অর্থ- হে ইন্দ্র, বল নামক গোব্রজ, বজ্র প্রহারের পূর্বেই ভীত হয়ে বিশ্লিষ্ট হয়েছিলোএই অলাতৃণো শব্দের মধ্যে মুসলমানরা আল্লা শব্দের প্রতিশব্দ খুঁজে পেলেও, এই শব্দটি আসলে ঘাস-পাতা বা খড়-কুটার মতো তুচ্ছ জিনিস বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।

এবার দেখা যাক, তৃতীয় রেফারেন্স এর অবস্থা কী ?

তৃতীয় রেফারেন্সটি হলো- মণ্ডল ৯, সূক্ত ৬৭ এবং শ্লোক ৩০এই শ্লোকে লিখা আছে,

অলাযস্য পরশুর্ণনাশ তমা পবস্ব দেব সোম। আখুং চিদেব দেব সোম।।

এর অর্থ হলো- সর্বস্থান আক্রমনকারী সেই বিপক্ষের কুঠার যাতে নষ্ট হয়ে যায়, হে দেব সোম, তুমি সেরূপে ক্ষরিত হও, তুমি সেই পীড়াদায়ক শত্রুকেই সংহার করো।

এখানে অলাযস্যশব্দের অর্থ সর্বস্থান আক্রমনকারীএবং মুসলমানরা এই শব্দের মধ্যেই খুঁজে পেয়েছে তাদের আল্লাকে, কারণ আর কিছুই নয় ধ্বনিগত সাদৃশ্য। একদিক থেকে অবশ্য আল্লা শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে অলাযস্যঠিকই আছে, কারণ অলাযস্য মানে যেমন সর্বস্থান আক্রমনকারী, তেমনি আল্লাও তো বিনা কারণে, কোরানে, যেখানে সেখানে অমুসলিমদেরকে আক্রমন করার জন্য মুসলমানদেরকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে।

এইভাবেই মুসলমানরা উপর্যুক্ত তিনটি রেফারেন্সের মাধ্যমে বেদ এর মধ্যে আল্লাকে খুঁজে পেয়েছে, প্রচেষ্টাটি মন্দ নয়, এটি সমুদ্রের বিশাল জলরাশির মধ্যে ইঁদুর খোঁজার মতো, যে ইঁদুররা কোনো দিন জল খাওয়া তো দূরে থাক, জল স্পর্শও করার চেষ্টা করে না।

হিন্দুদের মূর্তিপূজা এবং ঈশ্বর নিয়ে নানা আজেবাজে কথা বলার পর, মুসলমানরা ফটোতে তুলে দিয়েছে কোরানের দুটি আয়াত, যার প্রথমটি বলেছে,

বল, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়।

এখানে কে কাকে বলতে বলেছে, মুহম্মদ তার অনুসারীদের, না আল্লাহ মুহম্মদকে ?

বাক্যটা যেহেতু মুহম্মদের মুখ দিয়ে বেরিয়েছে, সেহেতু ধরে নেওয়া যায় যে, মুহম্মদ তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছে, তাহলে প্রমান হয় কোরান আল্লার নয়, মুহম্মদের বাণী। আর এই কথাটি যদি আল্লা, মুহম্মদের উদ্দেশ্যে বলতো, তাহলে বাক্যটি হতো এমন, “বল, আমি এক ও অদ্বিতীয়কারণ, আল্লা তো কখনো নিজেকে আল্লা বলে সম্বোধন করবে না। এইটুকু ব্যাকরণ না বুঝে মুসলমানরা কেনো বাংলা ব্যাকরণের জনক হিন্দুদের সাথে কথা বলতে আসে বা হিন্দুদের বিষয়গুলো নিয়ে চুলকায় ? বাঁশ খাওয়ার জন্য ? তো খা বাঁশ, দেখি আর কত নিতে পারিস ?

ঐ আয়াতেই আরো বলা হয়েছে, “আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নয়।

আল্লা যদি কারো মুখাপেক্ষী না হয়, তাহলে পৃথিবীতে ইসলাম প্রচারের জন্য মুহম্মদকে তার এজেন্ট বানাতে হয় কেনো ? কেনো ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলমানদের হাতে তাকে অস্ত্র তুলে দিতে হয় (কোরান, ৮/১২) ?

আল্লা যদি কারো মুখাপেক্ষী না হয়, তাহলে তার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে কেনো (কোরান, ২/৪৫) ?

এই আয়াতে আরো বলা হয়েছে, “তিনি কাউকে জন্ম দেন নি।

তিনি যদি কাউকে জন্ম না দিয়ে থাকেন, তাহলে তো আল্লার সেক্স করার প্রয়োজন পড়ে নি বা পড়ে না। তাহলে আল্লা গনিমতের মালের ভাগ, যার মধ্যে যুবতী মেয়েরাও থাকে, সেই গনিমতের মালের ভাগ নিয়ে আল্লা কী করে (কোরান, ৮/৪১)?

এই আয়াতে আরো বলা হয়েছে, “এবং তাকেও জন্ম দেওয়া হয় নি।

যদি তাকে জন্মই দেওয়া না হয়, তার যদি অস্তিত্বই না থাকে, তাহলে সে সাত আসমানের উপর স্থাপিত আরশে বসে থাকে কিভাবে ( কোরান, ৬৯/১৩-১৮) ? শুধু তাই নয়, সেই আল্লার যদি মানুষের মতো জন্মই না হয়ে থাকে, তাহলে সে কিভাবে মানুষের মতো রাগে (কোরান, ২/৪০, ৪১); মানুষের মধ্যে অমানুষের মতো হিংসা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে (কোরান, ৫/১৪); নবীর জন্য দালালি করে (কোরান, ৬৬/১); ভুলে যায় (কোরান, ২/১০৬, ২/১০৬); মত বদলায় (কোরান, ৫৮/১২,১৩); মুহম্মদকে ধমক দেয় (কোরান, ১৩/৩৭); স্বৈরাচারের মতো যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেয় ও যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেয় (কোরান, ৫/১৮); অমুসলিমদেরকে হুমকি দেয় (কোরান, ১১/২৫, ২৬); সন্ত্রাস করে বেড়ায় (কোরান, ৪৪/১৬); অসহায় হয়ে পড়ে (কোরান, ৪৭/ ৭); এছাড়াও আল্লার রয়েছে বহু অমানবিক দোষ, প্রাণীর মতো আল্লার যদি জন্মই না হয়ে থাকে, তাহলে আল্লার এসব জৈবিক দোষ আসে কোথা থেকে ?

এবং এই আয়াতে আরো বলা হয়েছে, “এবং কেহই তার সমকক্ষ নয়”,

যদি কেউই তার সমকক্ষ না হয়, তাহলে তার বড় শখের সৃষ্টি যে মানুষকে শয়তান প্রতিনিয়ত বিপথে নিয়ে গিয়ে দোযখগামি করছে, তাকে আল্লা হত্যা করতে পারে না কেনো ?

এতক্ষণ কোরানের ১১২ নং সূরার পোস্টমর্টেম করলাম, এবার ফটোপোস্টের শেষ আবর্জনা, ৩/১৯ নং আয়াতে কী বলা হয়েছে, সেটা দেখা যাক। এই আয়াতে বলা হয়েছে,

নিশ্চয় ইসলামই আল্লার একমাত্র মনোনীত ধর্ম।

এই কথা কার মুখ দিয়ে বের হয়েছে ? মুহম্মদের। যে মুহম্মদের সারা জীবনের ধ্যান জ্ঞান ছিলো ইসলামকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করার এবং মুসলমানদের প্রতি যার নির্দেশ হলো- কেয়ামত পর্যন্ত ইসলাম প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। গাঁজাখোরদের কাছে গাঁজা তো অবশ্যই শ্রেষ্ঠ জিনিস, তেমনি মদখোরদের কাছে মদ, কিন্তু তাই বলে কি মদ ও গাঁজা সবার জন্য ভালো জিনিস ? নিশ্চয় নয়। এই পোস্টের লেখক হিসেবে আমি এই দাবী করতেই পারি যে, এটা ফেসবুক জগতের একটি শ্রেষ্ঠ পোস্ট, তাতে কি এই পোস্ট শ্রেষ্ঠ হয়ে যাবে ? নিশ্চয় নয়। যত লোক এটা পড়বে, সবাই যদি এটাকে শ্রেষ্ঠ বলে তবেই এটা শ্রেষ্ঠ হতে পারে।

পৃথিবীতে ইসলামের আগমেনর ১৪০০ বছর পার হয়ে গেছে, এখনও ৮০% লোক ইসলামকে স্বীকার করে নি বা তাকে শ্রেষ্ঠ বিধান মনে করে গ্রহণ করে নি, বরং মুসলমান হিসেবে জন্ম নেওয়া মানুষেরাই এখন স্রোতের বেগে ইসলাম ত্যাগ করছে, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে মুহম্মদ যেমন গুটিকতক নিচু মন মানসিকতাসম্পন্ন মানুষের শ্রদ্ধা ভক্তি পাচ্ছে, তেমনি তার ৪ গুন মানুষের ঘৃণাও পাচ্ছে, তাহলে মুহম্মদের জীবনের স্বার্থকতা কোথায় ? শুধু তাই নয়, ইসলাম ছাড়াই পৃথিবীর ৮০% মানুষ ভালো আছে, সুখে আছে, উন্নতি করছে, ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম আল্লার কাছে মনোনীত না হলে অন্য ধর্মের মানুষেরা পৃথিবীতে টিকে আছে কিভাবে, ভালো বা সুখে আছে কিভাবে বা কিভাবে উন্নতি করছে ? শুধু তাই নয়, যারা মনে প্রাণে হান্ড্রেড পার্সেন্ট মুসলমান হয়ে ইসলাম পালন করে, দেখা যায় তারাই রয়েছে নানা দুর্দশায় বা সমস্যায়। এ থেকেই প্রমান হয়, “নিশ্চয় ইসলাম আল্লার কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম”- এটা একটা বোগাস কথা, যেমন বোগাস ইসলাম এবং তার আল্লা।

শেষে আবার বড় করে লিখেছে, “শেয়ার করুন”, শেয়ার তো করবেন অবশ্যই, তা না হলে মুসলমানদের এই ধান্ধাবাজি ও মিথ্যাচারের অন্ধকার ভেদ করে সূর্যের আলো সবার কাছে পৌঁছাবে কিভাবে ?

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
------------------------------
সময় থাকলে দেখে নিন উপরে উল্লেখ করা আয়াতগুলো -

আমি এখনই এই কাফেরদের অন্তরে ভীতির উদ্রেক করে দিচ্ছি। অতএব তোমরা তাদের ঘাড়ের উপর অঘাত হানো এবং জোড়ায় জোড়ায় আঘাত লাগাও।- ৮/১২

ঋণী আল্লা : তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, আল্লাকে করযে হাসানা’ ( উত্তম ঋণ) দিতে প্রস্তুত ? তাহলে আল্লা তাকে কয়েক গুন বেশি ফিরিয়ে দেবেন। -২/৪৫

সপ্তম আসমানে আল্লা : পরে যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। তখন ভূতল ও পর্বতরাশিকে উপরে তুলে একই আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেওয়া হবে।...সেই দিন আকাশ দীর্ণ বিদীর্ণ হবে এবং তার বাঁধন শিথিল হয়ে পড়বে। ফেরেশতাগণ তার আশ পাশে উপস্থিত থাকবে। আর আটজন ফেরেশতা সেই দিন তোমার রবের আরশ নিজেদের উপর বহন করতে থাকবে।” ( কোরান, ৬৯/১৩-১৮)

রাগী আল্লা : তোমরা একমাত্র আমাকেই ভয় করো। আমার প্রেরিত কিতাবের প্রতি তোমরা ঈমান আনো, যা তোমাদের প্রতি যে কিতাব রয়েছে, তার সত্যতা প্রমানকারী।... আমার ক্রোধ হতে তোমরা আত্মরক্ষা করো।- ২/৪০, ৪১

হিংসুক : শেষ পর্যন্ত আমি তাদের ( খ্রিষ্টান) মধ্যে সকল সময়ের জন্য চিরন্তন দুশমনী ও পারস্পারিক হিংসা বিদ্বেষের বীজ বপন করে দিয়েছি।- ৫/১৪

নবীর দালাল : হে নবী,তুমি কেনো সেই জিনিস হারাম করো, যা আল্লাহ তায়ালা তোমার জন্য হালাল করেছেন ? তুমি কি তোমার স্ত্রীদের সন্তোষ পেতে চাও ? - ৬৬/১

ভুলো মনা :
আমি যে আয়াত বাতিল করি কিংবা ভুলিয়ে দিই, তার স্থানে তা অপেক্ষা উত্তম জিনিস পেশ করি, কিংবা অন্তত অনুরূপ জিনিস এনে দিই।- ২/১০৬

আমি যখন এক আয়াতের স্থানে অন্য আয়াত অবতীর্ণ করি, আর আল্লা ভালোই জানেন যে তিনি কী অবতীর্ণ করেন।- ১৬/১০১

মত বদলানো : হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা যখন রসূলের সাথে গোপনে একাকি কথাবার্তা বলবে, তখন কথা বলার পূর্বে কিছু সদকা দাও। তা তোমাদের জন্য কল্যানকর ও পবিত্রতর।.... তোমরা কি ভয় পেয়ে গেলে যে, একাকী কথা বলার পূর্বে তোমাদের সদকা দিতে হবে ? ঠিক আছে, তোমরা যদি তা না কর, আল্লাহ তোমাদেরেকে তা হতে ক্ষমা করে দিলেন, - ৫৮/১২,১৩

মুহম্মদকে ধমক : এই নির্দেশের সঙ্গে আমি এই আরবী ফরমান তোমার উপর অবতীর্ণ করেছি। এখন যদি তুমি তোমার নিকট আসা এই জ্ঞান বর্তমান থাকা সত্ত্বেও লোকদের মনস্কামনার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লারহর মোকাবিলায় না তোমার কোনো সাহায্যকারী আছে, না তার পাকড়াও হতে কেউ তোমাকে বাঁচাতে পারে!- ১৩/৩৭

স্বেচ্ছাচারী : তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন ও যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন।-৫/১৮

আল্লার হুমকি : আমি তোমাদেরকে স্পষ্ট ভাষায় সাবধান করে দিচ্ছি যে, আল্লা ছাড়া আর কারো দাসত্ব করো না। অন্যথায় আমার আশংকা বোধ হচ্ছে যে, তোমাদের উপর একদিন পীড়াদায়ক আযাব আসবে।- ১১/২৫, ২৬

সন্ত্রাসী আল্লা :যে দিন আমি বড় আঘাত হানবো, সেই দিনই হবে যখন আমি তোমাদের উপর প্রতিশোধ নেবো ।- ৪৪/১৬

অসহায় আল্লা : হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য করো, তাহলে তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থা সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করে দেবেন।- ৪৭/ ৭

-------------------------------------------------------------------------------------------------















































































মন্তব্যসমূহ

  1. কুরআন নিয়ে খেলা করিস না তকে একটি ভাল বুদ্ধি দিচ্ছি তুই জাকির নায়েক এর কাছে যা আর শোন ইশ্বর নিরআকার তদের বেধ এও আছে আর তদের ধর্ম ভাল হয় তা হলে তদের ধর্ম কেউ গ্রহন করছে না কেন সবাই এমনকি তদের হিন্দু ধর্ম থেকেও মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছে কিন্তু কেও হিন্দু ধর্ম গ্রহন করছে না কেন আর তুই যেটা বললি ওটা কেয়ামতের পরে আর তরা বলিস আগে

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ভাই হিন্দুদের মতো গর্ধব সারা দুনিয়াতেও খুজলে পাবেন কি?..
      বেটাদের নিজেদের ধর্মেরই ঠিক নাই আর আসে অন্য ধর্মে ভুল ধরতে,,, কি আর বলার,,, গাধা কি কখনো বুঝে???

      মুছুন
    2. শুওরের বাচ্চা শুওররাই শুোরের ধর্ম ইসলাম গ্রহন করছে

      মুছুন
    3. তোদের নিজের ধর্মের ঠিক নাই তোরা আবার অন্য ধর্মের সমালোচনা করতে আসিস কিকরে।

      মাত্র ১৪০০ বছরের পুরানো কাল্পনিক গল্প হল ইসলাম। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের অনুসারী তোরা

      মুছুন
    4. মুসলিমরা হল সব গর্ধব। শুওরের বাচ্চাদের নিজের ধর্মের ই ঠিক নাই আবার অন্য ধর্মের সমালোচনা করতে আসে কিকরে। মাত্র ১৪০০ বছরের বানানো কাল্পনিক গল্প হল ইসলাম। গাধারা চিরকাল গাধাই থাকবে নইলে মাত্র ১৪০০ বছরের পুরানো কাল্পনিক গল্প নিয়ে কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ করত না

      মুছুন
    5. সনাতন ধর্ম হর একমাত্র চিরসত্য ধর্ম

      মুছুন
    6. ব্রহ্মের তিনটা রূপ- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের। এরমানে ঈশ্বরের অনেকগুলো। আর এর যে কোন একটির মূর্তি বানানো মানেই ঈশ্বরের মূর্তি বানানো। যার ফলশ্রুতি তে হিন্দরা একাধিক ঈশ্বরের পূজা করে। আগে নিজেদের ধর্মটা ভাল করে জানুন হিন্দু ভায়েরা। ইসলাম একমাত্র শান্তির ধর্ম এবং এবং এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী। মূর্তি নিষিদ্ধ হিন্দু ধর্মে।

      মুছুন
  2. শুনেন এতো কিছু জানেন, যান! জাকির নায়েকের সাথে টক্কর দেন, দেখি কে কাকে বুঝাতে পারে।আপনারা উলটা পাল্টা যুক্তি দিয়ে জবাব দিতে পারবেন তরকো বিতরকো করতে পারবেন, আসল বিষয়টা বুঝতে পারলেন না সত্যকে চিনতে পারলেন নাহ।আরো শুনেন,ঘরে বসে বসে ফতোয়া দিয়ে কোন লাভ হবে না যান সরাসরি জাকির নায়েকের সাথে লাগেন দেখি আপনি কোন চ্যাটের বাল।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. https://youtu.be/4WQKY11ON9w
      Video টা দেখেন। চোখ কপালে চলে যাবে।

      মুছুন
    2. অইগুলা মিথ্যা কথা।কারন এইগুলা টিভি থেকে বলা হয়েছে।টিভির কথা কত সত্য হতে পারে?বাংলাদেশ এ এলহন মানুষ না খেয়ে মরছে।আর সরকার বলছে সবাই খেয়েছে।শুধু বাংলাদেশ ই না অনেকগুলা ই আছে তাই টিভি চ্যানেল এর কথা মানা যাবে না।

      মুছুন
  3. শুনেন এতো কিছু জানেন, যান! জাকির নায়েকের সাথে টক্কর দেন, দেখি কে কাকে বুঝাতে পারে।আপনারা উলটা পাল্টা যুক্তি দিয়ে জবাব দিতে পারবেন তরকো বিতরকো করতে পারবেন, আসল বিষয়টা বুঝতে পারলেন না সত্যকে চিনতে পারলেন নাহ।আরো শুনেন,ঘরে বসে বসে ফতোয়া দিয়ে কোন লাভ হবে না যান সরাসরি জাকির নায়েকের সাথে লাগেন দেখি আপনি কোন চ্যাটের বাল।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. জাকির নায়েক ভুল কথা বলেন। বই এ এক খাজে আর এক বলে ভুলভাল।হিন্দু দের ভুল বোঝানোর চেষ্টা।

      মুছুন
    2. শুওরের বাচ্চা ফকির নায়েক কোন চ্যাটের বাল।
      সবকিছুর ভুলভাল ব্যাখা ছাড়া আর কিছু তো দিতে পারে না

      মুছুন
  4. কোর-আনের আয়াত সবতো সব অর্ধেক অর্ধেক কেটে কেটে দেওয়া হইছে ।

    হিন্দুদের দেবদেবীরা তো সব পরকিয়ায় লিপ্ত।
    দূর্গাকে অনেকে ঈশ্বর বলে মনে করে!!
    আসুন দূর্গা দেবি ঈশ্বর সম্পর্কে জানি...
    .
    ★দূর্গা হলো সর্বশক্তিমান দেবি।
    .
    ★দূর্গার ১০ হাত, প্রতি হাতে অস্ত্র আছে।
    .
    ★দূর্গার অবতার হয়েছে অসুকে মারার জন্য।।
    --
    ♦একদিন মহাদেব তার পত্নী পার্বতীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়।
    পার্বতী হলো দূর্গার অপর নাম।
    যখনমাহাদেবের প্রমত্ত যৌন উত্তেজনার ফলে পার্বতী মরনাপন্ন হয়ে পড়ে, তখন পার্বতী প্রান রক্ষার জন্য ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে প্রার্থণা করতে থাকে। এ অবস্থায় কৃষ্ণ তার সুদর্শন চক্রের দ্বারা উভয় লিঙ্গ কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পার্বতীর প্রান রক্ষা করেন। আর এই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রবর্তন হয় এই যুক্তলিঙ্গ পূজা ।
    #রেফারেন্স ��
    ---- (ভগবত, নবম স্কন্ধঃ৫৯৮)
    --
    এর পর পার্বতী নিজ যৌন চাহিদা মিটাতো তার পেছনের রাস্তা.... দিয়ে। আর মাহাদেব যেহেতু লিঙ্গ কাটার পর পার্বতীর যৌন চাহিদা পুরা করতে পারত না। তাই পার্বতী অন্যান্য ভগবানদের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হত। একদিনের ঘটনা। পার্বতী ভগবান বিষ্ণুর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। ঠিক এমন সময় সেখানে গনেশ এসে হাজির। গনেশ ছিল পার্বতীর আপন ছেলে।
    তখন পার্বতী গনেশের থেকে নিজেকে লুকানোর জন্য নিজ চেহারা তুলশীর চেহারায় পরিবর্তন করে ফেলে। তুলশীর সাথে গনেশের পূর্ব থেকে যৌন সম্পর্ক ছিল। তখন গনেশ নিজ মা পার্বতীকে তুলশী ভেবে তার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হন। পরবর্তীতে এই ঘটনা মহাদেব জানতে পেরে অভিশাপ দিয়ে নিজ ছেলে গনেশের মাথা হাতির মাথায় পরিবর্তন করে দেয় ।
    --------(স্কন্ধ পুরাণ, নাগর খন্ডম ৪৪৪১, পৃঃ১-১৬)
    ♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠
    দূর্গা এতো শক্তি!!!
    অস্ত্র ছাড়া চলতে পারে না!!!
    .
    আচ্ছা ঈশ্বরের কি অস্ত্র প্রয়োজন আছে?//
    .
    ঈশ্বরের কি যুদ্ধের দরকার আছে???
    .
    ঈশ্বরের কি বাচ্চা, বা স্বামীর প্রয়োজন আছে??
    .
    ঈশ্বরের কি অশ্লিল নগন্য হওয়ার দরকার আছে???
    .
    ঈশ্বরের কি পরকিয়াতা সেক্সের দরকার আছে???

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ভাই যাথার্থ্য বলেছেন,, হিন্দু নামের কোন ধর্ম নেই,, যৌন ধর্ম

      মুছুন
    2. আমি মুসলিমদের বলছি,,তোমরা যদি আল্লাহকে আর বিচার দিবসের ভয় করো,তবে কখনোই হিন্দুরা যাদের উপাসনা করে,তাদের গালি দিয়ো না।কারণ তারা অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দেবে।আর সেটা post এ হয়েছেও।অন্যদের গালি দিয়ো না,এটা আল্লাহর বিধান,তার দীনের সৌন্দ্রয্য আর আমাদের রাসূল কখনোই মুশরিকদের গালি দেননি।।

      মুছুন
    3. মুসলিম হলো একটি শত্রাসবাদি জাত এদের কোনো ধর্মনেই।

      মুছুন
    4. কে যে সন্ত্রাস সেটা হিন্দু শাসিত বৃহৎ ভারত কে দেখলেই বুঝা যায়। যারা গরু হত্যা কে পাপ মনে করে, কিন্তু সেই গরুর জন্যে মানুষ হত্যা করে

      মুছুন
    5. এসব ভুলভাল রেফারেন্স দিয়ে কোন লাভ নেই।
      সনাতন ধর্ম হল চিরসত্য ধর্ম

      মুছুন
  5. আল্লাহ ছাড়া যদি অন্য কোন উপাস্য থাকত, তাহলে ইহকাল ও পরকাল দুই
    শেষ হইত। তোদের দেবদেবীকে
    ইব্রাহিম নবি ভাংচুর করেছিল, কিছু
    করতে পারছিল😂। তোদের দেবীকে
    আমি ভাংচুর করব বা* ও ফালাইতে
    পারবে না।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আরে শুয়োরের বাচ্চা নিজেই প্রমাণ করলি তোরা যে জারজ সন্তান ,এখনি বললি ইব্রাহিম দেবদেবী ভেঙেছিল তোদের জাতটাই তো বোকাচোদা অন্য ধর্মকে শেষ করে তোরা নিজেরা থাকবি, তার জন্য আবার বলিস তোরা সৎ,তোদের ধর্ম সৎ শেখায়, তোরাই যে সারা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদি তোর একটা কমেন্ট সেই টা প্রমাণিত

      মুছুন
    2. হরতাল ভাই শুনে রাখুন যেটা মিত্ররা সেটা সঠিক বলে কি হবে ?দেবদেবির ভেঙেছে মিত্ররা তাই ।হিন্দু ধর্মের আঘাত করেছে সেটা বেদের শ্লোক দিয়ে প্রমাণ করেন।
      সেটা ভেঙে ছিল অন্য অবস্ইথাই ।
      ধর্মের মানুষকে কষ্ট দিতে ভাঙেনি ইবরাহিম আঃ ভেঙেছিল সত্যকে প্রচার করার জন্য তাহলে

      আপনি মেনেই নিচ্ছেন আপনাদের দেবদেবির কোনো ক্ষমতা নেই?

      মুছুন
    3. তোমাদের নবিকে নিয়ে ফ্রান্সে ব্যাঙ্গচিত্র বানিয়েছিলো যখন কার বালডা ছিড়তে পারসিলো তোমাদের নবী😆😆😆

      মুছুন
    4. তোদের বাবরি মসজিদ, হরিয়ানার মসজিদ আমরা ভেঙেছিলাম তখন তোদের বালের আল্লা কি বাল ছিড়েছিল

      মুছুন
    5. তোদের হাত পা কেটে আমরা ফেলে রেখে দেব

      মুছুন
    6. তোদের গলা কেটে রাস্তায় ফেলে দেব

      মুছুন
    7. সাহস থাকলে কামরূপ কামাখ্যায় যা। পরে কথা বলিস।

      মুছুন
  6. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নয় তার মানে
    হচ্ছে তিনি তার কাজের জন্য কারো মুখাপেক্ষী নয়। তিনি পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। তিনি আদম নবি থেকে শুরু করে শেষ নবি
    সর্বশ্রেষ্ট হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত ২ লাখ ২৪ হাজার নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন, মানুষের ঈমান পরীক্ষা করার জন্য।
    আল্লাহ বলেছেন, আমার রাসূলগনের
    কাজতো কেবল আমার বাণী স্পষ্ট ভাবে
    প্রচার করা, অতএব বিশ্বাস করা আর না করা তোমাদের ব্যাপার। আল্লাহ নিরাকার শুধু আমাদের জন্য, নবি রাসুল গণের জন্য নয়। তোরা
    পৌত্তলিকরা বুঝতে পারবি না।
    মরার পর ঠিকই বুঝতে পারবি
    তখন আফসোস করা ছাড়া
    কিচ্ছু করতে পারবি না।
    ফেরাউন ও তোদের মত
    বলেছিল, বিনিময়ে আজকে সে
    ধংস, যা মিশর যা দেখতে পারবি।
    গাযওয়াতুল হিন্দ এর পর তোরা
    হারিয়ে যাবি, গ্রিক, রোমান দেবীদের
    মতো তোদের দেব, দেবীও হারিয়ে যাবে😂😂।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. হিন্দু প্রশ্নঃ আচ্ছা ভাইয়া আপনাদের মধ্যে রাখি ভাই ফোটা নেই কেনো।

      মুসলিম উওরঃ দাদা আমাদের ধর্মে মা বাবা ভাই বোন বলতে কিছু নেই সবাই লাঙ্গ ভাতার।😋😂😄

      মুছুন
    2. হিন্দুদের রাখি বন্ধন যে কতোটা পবিত্র --তা সবার জানা আছে,,,।

      যমের বোন তার ভাইকেই চেয়ে বসেছিলো,,, ছিঃছিঃছি

      মুছুন
    3. লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের অনুসারী তোরা

      মুছুন
    4. আল্লা হল কাল্পনিক গল্প

      মুছুন
    5. ইসলাম হল শুওরের ধর্ম

      মুছুন
    6. গুগোল এর সার্চ করে দেখো পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে? পরে কথা বল 🥰

      মুছুন
  7. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নয় তার মানে
    হচ্ছে তিনি তার কাজের জন্য কারো মুখাপেক্ষী নয়। তিনি পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। তিনি আদম নবি থেকে শুরু করে শেষ নবি
    সর্বশ্রেষ্ট হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত ২ লাখ ২৪ হাজার নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন, মানুষের ঈমান পরীক্ষা করার জন্য।
    আল্লাহ বলেছেন, আমার রাসূলগনের
    কাজতো কেবল আমার বাণী স্পষ্ট ভাবে
    প্রচার করা, অতএব বিশ্বাস করা আর না করা তোমাদের ব্যাপার। আল্লাহ নিরাকার শুধু আমাদের জন্য, নবি রাসুল গণের জন্য নয়। তোরা
    পৌত্তলিকরা বুঝতে পারবি না।
    মরার পর ঠিকই বুঝতে পারবি
    তখন আফসোস করা ছাড়া
    কিচ্ছু করতে পারবি না।
    ফেরাউন ও তোদের মত
    বলেছিল, বিনিময়ে আজকে সে
    ধংস, যা মিশর যা দেখতে পারবি।
    গাযওয়াতুল হিন্দ এর পর তোরা
    হারিয়ে যাবি, গ্রিক, রোমান দেবীদের
    মতো তোদের দেব, দেবীও হারিয়ে যাবে😂😂।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. শুওরের বাচ্চা ইসলাম হল শুওরের ধর্ম

      মুছুন
    2. শুওরের ধর্মের অনুসারী তোরা

      মুছুন
    3. তোরা হলি শুওরের ধর্মের অনুসারী

      মুছুন
    4. সনাতন ধর্ম চিরন্তন।

      সনাতন ধর্ম সৃষ্টির শুরুতে ছিল আর চিরকালই থাকবে

      মুছুন
  8. হিন্দু বলতে তো কোনো ধর্ম নাই , এটা সনাতন ধর্ম ,ভাই আল্লাহ আপনাকে হেদায়াত দান করুন ,আমিন আর কিছু বললাম না

    উত্তরমুছুন
  9. আল-কোরআন একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ । যেটা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল হয়েছিল । আল-কোরআন একটি আসমানী কেতাব । এই কিতাবটি নিজস্ব কার লেখা নয় । এ কুরআনের মধ্যে কোন সন্দেহ নাই । মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে বিরত থাকো এবং মিথ্যা কথা পরিহার করো। [সূরা হাজ্জ, আয়াত ৩০] ।

    উত্তরমুছুন
  10. হিন্দু মাদারচোদ ধর্মের লোকেরা রেফারেন্স তো দিতে পারলোই না বরং উল্টাপাল্টা কথা লিখলো..এই সমস্ত হিন্দু কালী চোদারে কালীর পুটকি দিয়া ভরতে হইবো..সন্ত্রাসী ধর্ম হিন্দু..

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. মাদ্রাসা থেকে তোদের খুবই ভালো শিক্ষা দিয়েছে। তোরাই পারবি ইসলামকে চোধনবাঁজ বানাতে।

      মুছুন
    2. তোরা তো শুওরের ধর্ম ইসলামের অনুসারী

      মুছুন
    3. তোদের তো আল্লার পুটকি দিয়া ভরতে হইব

      মুছুন
    4. মুসলিম মাদারচোদ ধর্মের লোকেরা কখনও সত্য বুঝবে না

      মুছুন
  11. Dear Hindu Brother ,
    Apnader dhormoi jodi sotto hoy , tahole dine dine manush Pobitro sotto dhormo Islam accept korche keno? Hindu dhormo keno accept korche na? Kindly apnar bibek k jagroto korun,sotter pothe ashun, Islam shantir dhormo.

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ইসলাম হল শুওরের ধর্ম

      মুছুন
    2. শুওরের বাচ্চা তোর প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে অনেক লেখা লাগবে
      ।অত সময় নেি আমার কাছে। শুধু শুনে রাক ইসলাম হল শুওরের ধর্ম

      মুছুন
  12. তোমাকে কে বলেছে যে আল্লাহ নিরাকার? তুমি তো কোরান সম্পর্কে কিছুই জানোনা! আর তোমাদের হিন্দু কোন ধর্মের ভিতরে পড়ে !এটাতো একটা ভৌগলিক নাম, এটা ধর্মের নাম হল কবে? তোমরা শিবের "ধনের" পূজা করো ,নিজেরা মূর্তি বানিয়ে মনগড়া পূজা করো। তোমাদের ধর্মগ্রন্থ বলছে যে ঈশ্বরের কোন লিঙ্গ নাই, আর তোমাদের ঠাকুর যখন পূজা করে তখন বলে "ঔংদেবী আও"
    ঈশ্বরের যদি কোন লিঙ্গ না থাকে তাহলে দেবী হল কিভাবে !দে তো মহিলা ।তোমরা ধর্ম বোঝনা। তোমাদের চোদ্দপুরুষ দেখে আসতেছে করে আসতেছে তোমরাও তাই করো। আর জাকির নায়েক সম্পর্কে, তোমার শ্রী শ্রী রবি শংকর জুতার বাড়ি খেয়ে চলে আসে। আর তুমি তো হোল পাগলা।

    উত্তরমুছুন
  13. পোষ্টকারী শালায় একটা মূখ- কি কয় ওর বাপেও বোঝেনা-- আমি বলছি মূর্তিপূজা হিন্দুধর্মে নেই+- যারা মূর্তিপূজা করে সব শালা ধমব্যবসায়ী--

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. শুওরের বাচ্চা তুই তো একটা শুওর। শুওর কি বলল না বলল না বলল তাতে কোন মানুষের তো কিছু যায় আসে না

      মুছুন
    2. পুজা আমরা চিরকালই করব

      মুছুন
  14. ভাই আপনি শোনা কথার রেফারেন্স দিলে তো হবেনা।আপনি বললেন মুসলমানদের কাছে শুনেছেন শবেবরাতের রাতে আল্লাহ নিচে নেমে আসেন।এবার রেফারেন্স দেন তো দেখি শবেবরাতের রাতে আল্লাহ নিচে নেমে আসে এটা কোথায় লেখা আছে।ইসলামে শবেবরাত বলে কিছু নেই।প্রমাণ করে দেখান তো কোথায় লেখা আছে।শোনা কথার রেফারেন্স দিলে তো হবেনা।এই পোস্ট করা মানে অজ্ঞতার পরিচয় দেওয়া।প্রতিটি লাইনে ভুলভাল লেখা।

    উত্তরমুছুন
  15. ধন্যবাদ দাদা,অসাধারণ উত্তর 😍

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. এই রেফারেন্সে অনেক ভুল আছে। ভাই ,আগে কোরআন হাদিস সম্পর্কে ভালো করে জেনে বুঝে রেফারেন্স দিবেন ।আপনার রেফারেন্সে অনেক ভুল আছে। দয়া করে ভালো করে বুঝে সত্যি রেফারেন্স গুলা দিবেন। এবং আপনিও চিন্তা করে দেখুন কোন ধর্ম সঠিক।মানুষকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। কোরআন ভাল করে পড়ুন অর্থ সহকারে এবং জানুন। আপনি যে বললেন,আট জন ফেরেশতা আল্লাহর আরশ কে ধরে রেখেছে কিন্তু আল্লাহ তো কিছুর উপর নির্ভরশীল নয়।

      মুছুন
  16. হিন্দু ধর্মের বেশিরভাগ দেবী দেবতা নিরাকার। শ্রীকৃষ্ণানন্দ আগমবাগীস আসার পর থেকেই মুর্তি পুজো শুরু হয় যদিও মুর্তির মানে আছে। তার আগে মন্ত্র ও যন্ত্র প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে পূজা হতো। বাকি ধর্মে সব গবেট যেহেতু তাই তাতে আদেশ রয়েছে। কিন্তু গীতা হোক কি মুন্ডমালা বা বিজ্ঞান ভৈরব, সবেতেই অগাধ প্রশ্ন।

    উত্তরমুছুন
  17. ভাই,,,এইসব লিখে নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করতে যাবেন না,,,আপনাদের ধর্মের যত গ্রন্থ আছে,,,,একটা আরেকটার সাংঘর্ষিক ,, এতেই বুঝা যায়,,এটা নির্ঘাত বানানো ধর্ম ,,,যদিও আগে এ কিতাব গুলো নিয়ে হয়ত কোনো রাসূল এসেছেন,,,কিন্তু এটা শুধু সে সময়ের জন্যই,,,ঘুরামি বাদ দেন,,,মুক্তি পাবেন

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সত্য,ত্রেতা,দ্রপড়, কলি যুগ শেষ, তাই আদি সিন্ধুসভ্যতার মাতৃকামূর্তি বিলুপ্ত।
      সিন্ধুহিন্দু ধর্ম বলে কিছুই নাই।ও সব এখন গায়ে মানে না আপনি মোড়লের সনাতনী /শয়তানী ধর্ম।amendment হোক যত্তসব prejudice এর😹😹

      মুছুন
    2. তোরা তো শুওরের বাচ্চা। তোরা কখনও সত্য বুঝতে পারবি না

      মুছুন
    3. শুওরের বাচ্চা তোরা কখনও সত্য বুঝতে পারবি না। মাত্র ১৪০০ বছরের পুরানো কাল্পনিক গল্প হল ইসলাম। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদ এর অনুসারী তোরা

      মুছুন
  18. হিন্দু ধর্মে পূজা নিষিদ্ধ :-

    রেফারেন্স সহ প্রমান দিলাম :-

    ১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ )

    অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই ।

    ২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) ।

    রেফারেন্স সহ দিলাম ।

    ৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥

    বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।

    “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।

    “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।

    ৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥

    ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ]

    ৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -

    [ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]

    ৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ –

    [ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।]

    উত্তরমুছুন
  19. দাদা আপনার যুক্তিসংগতো কথা গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে।আপনার কাছে এরকম আরো গরুত্ব পূর্ণ কথা শোনার আশা পোষণ করছি।🙏🙏🙏🙏🙏👍👍👍

    উত্তরমুছুন
  20. একজন প্রকৃত মুসলিম কখনো বলে নাই যে আল্লাহ নিরাকার আপনি ভুল তথ্য জানেন।
    আর আপনি বলতেছেন জাকির নায়েক স্যার ভুল তথ্য বলে হিন্দুধর্মের নামে। স্যার জাকির নায়েকের lecture এ হিন্দু পন্ডিতরা বসে থাকে কখনো তারা জাকির নায়েকের ভুল প্রমান করতে পারেননি।
    আপনি পারলে জাকির নায়েক স্যারের সাথে debet করেন।

    উত্তরমুছুন
  21. সনাতনী শয়তানরা নিজের আপন কাকী,বোন,মাসি,পিসিদের সাথেও যৌনাচারে লিপ্ত হয়।ওদের কাছ থেকে ভালো কোনো ধর্মীয় হীতোপদেশ বা জ্ঞান আজকাল পাওয়া যায় না।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. শুওরের বাচ্চা তোরা তো নিজের আম্মা আপর সাথে চোদাচুদি করিস সেটা বল

      মুছুন
  22. ভূয়া, বানোয়াট তথ্যঃ
    বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই ।
    ♥জবাবঃ
    ব্রহ্ম সুত্র বেদের নয়।ব্রহ্ম সুত্র উপনিষদ দর্শনের ব্যাখ্যা।

    ♦ভূয়া,মিথ্যা তথ্যঃ
    “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
    ♥জবাবঃ
    ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলে আছেই ৪৩টা সূক্ত।সেখানে ৪৫সূক্তেরসূক্তের ১৬নং ঋক কোথা থেকে আসলো??

    ♦ভূয়া ব্যাখ্যাঃ
    “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
    ♥জবাবঃ
    ঋগ্বেদের ১ম মন্ডলের ২য় সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া গেলো এই মন্ত্রটি,

    ঋষি,মধুচ্ছন্দা।ছন্দ,গায়েত্রী।
    বয়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতী দাশুষে।উরুচী সোমপীতয়ে।।(ঋগ্বেদ ১/২/৩)📖
    অর্থঃ
    হে বায়ু, তোমার সোমগুণ প্রকাশক বাক্য সোম পানর্থে হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে,অনেকের নিকট আসছে।
    *সোমরস-এক ধরণের লতার রস,যা ঘৃতের মত দেবতাদের নিকট প্রিয় পানীয়।

    ♦মিথ্যা তথ্যঃ
    “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
    ♥জবাবঃ
    ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলের ১২১সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া যায় এই মন্ত্রটি,

    ঋষি-হিরণ্যগর্ভ। ছন্দ-ত্রিষ্টুপ্।
    যঃ প্রাণতো নিমিষতো মহিত্বৈক ইদ্রজা জগতো বভূব।
    য ঈশে অস্য দ্বিপদশ্চতুষ্পদঃ কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম।।(ঋগ্বেদ,১০/১২১/৩)📖
    অর্থঃ
    যিনি নিজ মহিমা দ্বারা যাবতীয় দর্শননেন্দ্রিয়সম্পন্ন গতিশক্তিযুক্ত জীবদের অদ্বিতীয় রাজা হয়েছেন,যিনি এ সকল দ্বিপদ চতুষ্পদের প্রভু।আমরা উপসনায় কি নৈবেদ্য দেবো?

    উত্তরমুছুন
  23. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  24. যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০ মন্ত্র ৯ এর কথা বলে। কিন্তু নিজেদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাবার ভয়ে তারা ১০ ও ১১ নং মন্ত্র এরিয়ে যায়। আসলে সেখানে সম্ভূতি ও অসম্ভূতি নামে দুটো শব্দ আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা সম্ভুতি এর অর্থ করে মূর্তি বা জড় জিনিসের পূজা আর অসম্ভূতি অর্থ করে প্রকৃতিপূজা। কিন্তু এটা তাদের ধারাবাহিক মিথ্যাচারেরই একটা অংশ। আসলে সম্ভূতি অর্থ সৃষ্টি এবং অসম্ভূতি অর্থ বিনাশ। যেমন আমরা বলি সজ্ঞানসম্ভূত মানে সজ্ঞানে সৃষ্ট। ৯ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, যারা কেবলমাত্র সম্ভূতি বা অসম্ভূতির উপাসনা করে, তারা অন্ধকারে লিপ্ত। ১০ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, এর কারণ এই দুইরকম উপাসনার ফল দুরকম। ১১ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, সম্ভূতি ও বিনাশ (অসম্ভূতি) কে যারা সমন্বয় করতে পারে, তারাই বিনাশ (অসম্ভূতি) দ্বারা মৃত্যুকে তরণ করে সম্ভূতির দ্বারা অমৃতকে লাভ করে। এবার যদি আমরা তাদের দেওয়া অনুবাদ অর্থাৎ সম্ভূতি মানে মূর্তিপুজাও ধরি, তবুও ১১ নং মন্ত্রে সম্ভূতি বা মূর্তিপুজা করতেই বলা হয়েছে।

    আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিথ্যাচার হলো ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
    [ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনাকরে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]

    আমরা দেখবো আসলে গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩ এ কি বলা হয়েছে
    যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।
    অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।৩।।
    অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোরান ও হাদিস নিয়ে তুইতো মিত্ররা কথা বলেছিস মিথ্যাবাদি হিন্দু

      মুছুন
  25. প্রথম ৪ টা লজিক পড়লাম,,, শুধুমাত্র বানান আর শ্লোক পরিচ্ছেদ নং ভুল এগুলোই পাইলাম। অন্য যুক্তিগত উত্তর পেলাম না। আর আপনার যে ভাষা সেই ভাষায় মানুষকে ধর্ম কি শিখাবেন? মুসলমাদের কটাক্ষ ছাড়া এই পোস্টে কিছুই পেলাম না। আর আপনার থেকে অনক বড় বড় পন্ডিত যুক্তি তর্কে পারেনি তো আপনি কি পাকনা সেটা আপনার পোস্ট দেখেই বুঝা যাচ্ছে। মিথ্যা প্রচার করা বাদ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুক সঠিক বুঝার আর আপনার মনকে করুক হিংসা মুক্ত।

    উত্তরমুছুন
  26. ভাই আপনি ভুল করছেন
    আল্লাহ নিরাকার কোথায় পেয়েছেন?
    আপনার সব প্রশ্নের উওর আছে বাট এই খানে ত দেওয়া সম্ভব নাহ। সো তাই ড.জাকির এর হিন্দুদের সাথে ডিবেট এর ভিডিও দেখেন সব ক্লিয়ার হবে ইনশা আল্লাহ।
    আর তুলনামূলক ধর্ম গ্রন্থ পরুন বিজ্ঞান দিয়ে যাচাই করুণতাহলেই হবে
    হবে ইসলামে আসার জন্য এটাই যথেষ্ট।কারণ সৃষ্টি কর্তা বিবেক দিয়েছে ওই টা কাজে লাগিয়েই সত্যর সন্ধায়ে আসতে পারবেন ইনশা আল্লাহ

    উত্তরমুছুন
  27. শুনে বললে এমনই হয়! নিজে না পড়ে লাফানো মুর্খামী!কে কাকে বলতে বলেছে সেটা পড়লেই জানা যায়৷ আর মূর্তি পুজা?
    https://www.bissoy.com/q/111111784870

    উত্তরমুছুন
  28. Are apni ja quran er ayat er nam korlen sb gulo vul. Jene proof hisabe din. R ha ami nije sanskrit student kon ved e ki ache nije jani . Allah nirakar. Islam religion ke pothu prodorsok hisabe hazrat rasul duniya esche. Allah first sristhi kore adam ja mati thk sristhi. Apnar sb kta ayat vul. Jeta janen na bolar drkr nei. Apni sonaton dhormo ke hasir patro kore tullen.

    উত্তরমুছুন
  29. তাফসীরে ইবনে কাসির বলা আছে, যারা আল্লাহকে আরশে সমাসীন বলেন তারা পথাভ্রষ্ট| বর্তমানে লা মাযহাবীরা বলেন,
    আল্লাহ আরশে বসে আছেন| এটা ভ্রান্ত এবং কুফরী | তাদের কথামত আল্লাহ যদি আরশে বসে থাকেন, এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, যখন আরশ ছিল না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আহলে হাদিসদের শায়খ ইবনে তাইমিয়ারও পক্ষে সম্ভব নয়|
    কারণ আরশ হলো আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি| আরশ যখন ছিলনা তখনও আল্লাহ ছিলেন, এখনও আছেন এবং থাকবেন|

    আরশে বসার জন্য দৈহিক আকৃতি তথা পাছা,পিঠ প্রয়োজন এবং বসার জন্য আরশের মুখাপেক্ষী হতে হয় অর্থাৎ আরশের উপর হেলান দিতে হয়| কিন্তু আল্লাহ সূরা
    ইখলাসের ২ নং আয়াতে বলেছেন, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী| অর্থাৎ তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন| তার বসা, হেলান দেয়ার,
    নিদ্রার প্রয়োজন নেই|

    অন্যভাবে বলা যায়, যদি কুরসিতে বসা মানে, তাহলে হয়তো কুরসী বড় হবে নাহলে আল্লাহ? অথচ আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন, **কেউ তার সমকক্ষ নয়**|
    ★সূরা ইখলাস

    এছাড়া সুরা (শুরা ১১ ) তে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তার কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা কিছুই নেই।
    অর্থ্যাৎ বিশ্বজিতে আল্লাহ তায়ালার সাথে সাদৃশ্য সামান্য তম নেই ।
    এখন প্রশ্ন হলো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কি অস্তিত্ব হীন ! উত্তর হচ্ছে না। বাতাস, রাগ , মেধা , ইত্যাদি কি দেখা যায় ? না । এগুলো শুধু আমরা দেখতে পারি ।
    কিন্তু এসব অদৃশ্য জিনিস এবং আল্লাহর মধ্যে পার্থক্য কি ? পার্থক্য হলো এগুলো সবই সৃষ্টি। এবং আল্লাহ তায়ালা স্রষ্টা ।

    উত্তরমুছুন
  30. গীতার বহু যায়গায় দেবদেবীর উপাসনা করতে বলা হয়েছে।

    গীতা দ্বাদশ অধ্যায় শ্লোক ১-২

    অর্জুন উবাচ
    এবং সততযুক্তা যে ভক্তাস্ত্বাং পর্যুপাসতে।
    যে চাপ্যক্ষরমব্যক্তং তেষাং কে যোগবিত্তমাঃ।।১।।

    অনুবাদঃ অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন-এভাবেই নিরন্তর ভক্তিযুক্ত হয়ে যে সমস্ত ভক্তেরা যথাযথভাবে তোমার আরাধনা করেন এবং যাঁরা ইন্দ্রিয়াতীত অব্যক্ত ব্রহ্মের উপাসনা করেন, তাঁদের মধ্যে কারা শ্রেষ্ঠ যোগী।

    শ্রীভগবানুবাচ
    ময্যাবেশ্য মনো যে মাং নিত্যযুুক্তা উপাসতে।
    শ্রদ্ধয়া পরয়োপেতাস্তে মে যুক্ততমা মতাঃ।।২।।

    অনুবাদঃ শ্রীভগবান বললেন-যাঁরা তাঁদের মনকে আমার সবিশেষ রূপে নিবিষ্ট করনে এবং অপ্রাকৃত শ্রদ্ধা সহকারে নিরন্তর আমার উপাসনা করেন, আমার মতে তাঁরাই সর্বশ্রেষ্ঠ যোগী।

    https://krishnalela.blogspot.com/2019/03/srimad-bhagavad-bangla-gita.html?m=1

    গীতা ৩য় অধ্যায় শ্লোক ১২

    ইষ্টান্ ভোগান্ হি বো দেবা দাস্যন্তে যজ্ঞভাবিতাঃ।
    তৈর্দত্তানপ্রদায়ৈভ্যো যো ভুঙক্তে স্তেন এব সঃ।।১২।।

    অনুবাদঃ যজ্ঞের ফলে সন্তুষ্ট হয়ে দেবতারা তোমাদের বাঞ্ছিত ভোগ্যবস্তু প্রদান করবেন। কিন্তু দেবতাদের প্রদত্ত বস্তু তাঁদের নিবেদন না করে যে ভোগ করে, সে নিশ্চয়ই চোর।

    https://krishnalela.blogspot.com/2019/02/bangla-gita-chapter-3.html?m=1

    গীতা ৯ম অধ্যায় শ্লোক ২৩

    যেহপ্যন্যদেবতাভক্তা যজন্তে শ্রদ্ধয়ান্বিতাঃ।
    তেহপি মামেব কৌন্তেয় যজন্ত্যবিধিপূর্বকম্।।২৩।।

    অনুবাদঃ হে কৌন্তেয়! যারা অন্য দেবতাদের ভক্ত এবং শ্রদ্ধা সহকারে তাঁদের পূজা করে, প্রকৃতপক্ষে তারা অবিধি পূর্বক আমারই পূজা করে।

    https://krishnalela.blogspot.com/2019/03/srimad-bhagavad-gita-in-bengali-chapter_20.html?m=1

    উত্তরমুছুন
  31. ভাই কুরানের অনেক ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন,,,,অবশ্যই আপনার উত্তর দেয়া হব।

    উত্তরমুছুন
  32. আপনি সঠিক ব্যাখঢা দিয়েছেন

    উত্তরমুছুন
  33. আল্লা নয় আল্লাহ
    আর কোরান নয় কুরআন

    উত্তরমুছুন
  34. আল্লাহর কসম! এখনও সময় আছে, ভালো হয়ে যা। নয়তো মুজাহিদরা কিন্তু তোদের মতো কাফির-মুশরিকদেরকে জাহান্নামে পৌঁছানোর জন্যই তৈরি হয়....

    উত্তরমুছুন
  35. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  36. ভাই আপনি অনেক জানেন,,কিন্তু আমি বেশি একটা জানি না,,তাই আমি কিছু জানতে চাই,,আর আপনার কিছু প্রশ্নের উত্তর ও দিতে চাই যদি পারেন তাহলে (01752793469) এই নাম্বারে কল দিয়েন,,আর আপনার নাম টা জানার ও খুব ইচ্ছা আছে

    উত্তরমুছুন
  37. আপনি আপনার মন্তব্যে বলেছেন যে, ভূলে ভরা কোর আন।
    কোরআন নিজেই চ্যালেঞ্জ দিয়েছে ভুল ধরার ব্যাপারে।
    আপনি চাইলে ভুল গুলো নিয়ে কথা বলতে পারেন।
    আর কমেন্ট বক্সে আপনাদের মন্তব্যের মধ্যে যে হতাশাব্যঞ্জক করুণ হীন মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন সেটি পড়লে বুঝা যায়।
    আর যে ধর্মের অনুসারী অন্য ধর্মকে গালিগালাজ করে সেই কখনো ধার্মিক হতে পারে না, হয় ভন্ড না হয় ষড়যন্ত্রকারী।
    আল্লাহ আপনাদের সঠিক জ্ঞান দান করুক আমীন

    উত্তরমুছুন
  38. তোদের মত শু,,, বাচ্চারা উল্টোপাল্টা বোঝায় মানুষকে বিভ্রান্ত করে হালা তুই আমার সামনে আয় তোর 10 মিনিট বক্তব্য দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে না । নাম্বার কন্টাক্ট দিস ।যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করে দিস

    উত্তরমুছুন
  39. একটা কথায় বলবো শুধু "দুনিয়ার সবথেকে নির্বোধ জাতি যদি থাকে সেটা হল হিন্দু জাতি

    উত্তরমুছুন
  40. হিন্দুদের দেবদেবীরা তো সব পরকিয়ায় লিপ্ত।
    দূর্গাকে অনেকে ঈশ্বর বলে মনে করে!!
    আসুন দূর্গা দেবি ঈশ্বর সম্পর্কে জানি...
    .
    ★দূর্গা হলো সর্বশক্তিমান দেবি।
    .
    ★দূর্গার ১০ হাত, প্রতি হাতে অস্ত্র আছে।
    .
    ★দূর্গার অবতার হয়েছে অসুকে মারার জন্য।।
    --
    ♦একদিন মহাদেব তার পত্নী পার্বতীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়।
    পার্বতী হলো দূর্গার অপর নাম।
    যখনমাহাদেবের প্রমত্ত যৌন উত্তেজনার ফলে পার্বতী মরনাপন্ন হয়ে পড়ে, তখন পার্বতী প্রান রক্ষার জন্য ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে প্রার্থণা করতে থাকে। এ অবস্থায় কৃষ্ণ তার সুদর্শন চক্রের দ্বারা উভয় লিঙ্গ কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পার্বতীর প্রান রক্ষা করেন। আর এই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রবর্তন হয় এই যুক্তলিঙ্গ পূজা ।
    #রেফারেন্স ��
    ---- (ভগবত, নবম স্কন্ধঃ৫৯৮)
    --
    এর পর পার্বতী নিজ যৌন চাহিদা মিটাতো তার পেছনের রাস্তা.... দিয়ে। আর মাহাদেব যেহেতু লিঙ্গ কাটার পর পার্বতীর যৌন চাহিদা পুরা করতে পারত না। তাই পার্বতী অন্যান্য ভগবানদের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হত। একদিনের ঘটনা। পার্বতী ভগবান বিষ্ণুর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। ঠিক এমন সময় সেখানে গনেশ এসে হাজির। গনেশ ছিল পার্বতীর আপন ছেলে।
    তখন পার্বতী গনেশের থেকে নিজেকে লুকানোর জন্য নিজ চেহারা তুলশীর চেহারায় পরিবর্তন করে ফেলে। তুলশীর সাথে গনেশের পূর্ব থেকে যৌন সম্পর্ক ছিল। তখন গনেশ নিজ মা পার্বতীকে তুলশী ভেবে তার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হন। পরবর্তীতে এই ঘটনা মহাদেব জানতে পেরে অভিশাপ দিয়ে নিজ ছেলে গনেশের মাথা হাতির মাথায় পরিবর্তন করে দেয় ।
    --------(স্কন্ধ পুরাণ, নাগর খন্ডম ৪৪৪১, পৃঃ১-১৬)
    ♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠
    দূর্গা এতো শক্তি!!!
    অস্ত্র ছাড়া চলতে পারে না!!!
    .
    আচ্ছা ঈশ্বরের কি অস্ত্র প্রয়োজন আছে?//
    .
    ঈশ্বরের কি যুদ্ধের দরকার আছে???
    .
    ঈশ্বরের কি বাচ্চা, বা স্বামীর প্রয়োজন আছে??
    .
    ঈশ্বরের কি অশ্লিল নগন্য হওয়ার দরকার আছে???
    .
    ঈশ্বরের কি পরকিয়াতা সেক্সের দরকার আছে???

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হিন্দুদের এত দেবতা, আসলে কোনটা বড় ?

হিন্দুদের এত দেবতা , আসলে কোনটা বড় ? এবং ইসলাম নাকি সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম ! উপরের এই দুটো প্রসঙ্গসহ মুসলমানদের করা আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে জানতে চেয়ে ছিলো Pritam Das নামের আমার এক ফেসবুক বন্ধু। শুরুতেই দেখে নিন সেই প্রসঙ্গগুলো- মুসলমানরা বলে যে , একটা হাতির মুখ মানুষের শরীরে কি করে বসানো যায় ? কী যুক্তি আছে এটার পেছনে ? আর সেইটাকে তোমরা হিন্দুরা আবার পূজাও করো! আবার সেই গনেশের একটা কলা গাছ বউও আছে। তারপর হুনুমান কী করে উড়তে পারে ? কী করে একাই একটা লংকা জ্বালিয়ে দিতে পারে ? এছাড়াও বলে যে ইসলাম নাকি পৃথিবীর প্রাচীন ধর্ম , হিন্দু ধর্ম অনেক পরে এসেছে। পৃথিবী কবে শেষ হবে তা নাকি ওদের কোরানে লেখা আছে। আর মাঝে মধ্যে প্রায় জিজ্ঞেস করে হিন্দুদের এত দেবতা , আসলে কোনটা বড় ? কোনো না কোনো তো একটা বড় দেবতা হয়েই যায়। সবাই তো এক দেবতা পূজা করে না। কেউ কেউ তো আলাদা পূজা করে , তাহলে হিন্দুদের মধ্যে দেবতা নিয়ে একতার অভাব। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি... এবার দেখুন আমার জবাব: মুসলমানরা হিন্দুদেরকে ধর্ম বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করে , ঠিকঠাক সেই প্রশ্নগুলোর জবাব দিতে না

বেদ এ ‘‘পিতা তার মেয়ের সাথে অশ্লীলকর্মে লিপ্ত’’- =>এছাড়া মা- ছেলে দূষ্কর্ম, এমন বিশ্রি বর্ণনা যেই গ্রন্থে তা কি করে সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে ?”

“ রিগবেদ ---- অধ্যায় - ৩ , খন্ড - ৩১ , শ্লোক : ১ - ২ ‘‘ পিতা তার মেয়ের সাথে অশ্লীলকর্মে লিপ্ত ’’- => এছাড়া মা - ছেলে দূষ্কর্ম , এমন বিশ্রি বর্ণনা যেই গ্রন্থে তা কি করে সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে ?” ঠিক এই প্রশ্নটিই করেছে Md Alhaz Hosain নামের এক মুসলমান আমার এক পোস্টের কমেন্ট বক্সে। বেদ এ্রর এই বাণীতে আসলেই কী বলা হয়েছে , সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পাবেন আমার এই পোস্টে : ফেসবুকে মুসলমানদের কমেন্ট মানেই গালাগালি , খিস্তি। এ থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার যে , মুসলমানরা যুক্তি বোঝে না। কারণ , যারা যুক্তি বোঝে তারা যুক্তি দিয়ে কথা বলে , প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে তাদের গালি - গালাজের প্রয়োজন হয় না। এজন্য তথ্য রেফারেন্স দিয়ে লেখার পরও যারা সেসবে নজর না দিয়ে গালাগালি করে তাদের কমন্টেকে আমি রাস্তার পাগলা কুত্তার ঘেউ ঘেউ বলেই মনে করি , তাই সেগুলোকে কোনো গুরুত্বই দিই না। কিন্তু আজকে যে কমেন্টটির উত্তর দিচ্ছি , সে বেশ ভদ্রভাবেই কথাগুলো তুলে ধরেছে ; তাই তার লেখার জবাব দিচ্ছি , যদিও পাগলা