সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মুসলমান ও আনন্দবাজার পত্রিকার কাছে নাথুরাম গডসে, ঘাতক; কিন্ত.........



মুসলমান ও আনন্দবাজার পত্রিকার কাছে নাথুরাম গডসে, ঘাতক; কিন্ত.........




(১৫ নভেম্বর হিন্দু বীর নাথুরাম গডসের বলিদান দিবস। হিন্দু জাতির অভিশাপ পাপাত্মা গান্ধীকে হত্যার জন্য, নেহেরু সরকার, ১৯৪৯ সালের এই দিনে নাথুরাম গডসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এই প্রবন্ধটি নাথুরাম গডসের প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।)

নেটে সার্চ দিয়ে গডসে সম্পর্কে যতগুলো লেখা পাবেন, সেগুলো যদি মুসলমানদের লেখা হয়, ততগুলোতেই দেখবেন, নাথুরাম গডসের নামের আগে বসানো আছে ঘাতক শব্দটি। কিন্তু এই গডসে মাত্র সেই ১ জনকে খুন করেছে; তাকে খুন করেছে- যার কারণে, মহাভারতের যে আদর্শ- বিনা যুদ্ধে নাহি দেবো সূচাগ্র মেদিনী- সেই আদর্শের দেশ ভারত- দ্বিখন্ডিত হয়েছে; প্রায় ২০ লক্ষ হিন্দু ও শিখ নিহত হয়েছে; প্রায় লক্ষাধিক মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে; নিজ জন্মভূমি-ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়েছে কয়েক কোটি মানুষ; সেকারণেই এখনও উদ্বাস্তু হতে হচ্ছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে। গডসে খুন করেছে এত সব কারণের মহাখলনায়ক গান্ধীকে।

গান্ধীর কারণে হিন্দুদের এত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে যে
, পৃথিবীতে আর কেউ হিন্দুর এত ক্ষতি করে নি আর ভবিষ্যতে কারো পক্ষে এত ক্ষতি করা কখনোই সম্ভব হবে না এবং গান্ধী বেঁচে থাকলে হিন্দুদের আরও ক্ষতি হবে, এই বিবেচনা করেই নাথুরাম গডসে গান্ধীকে খুন করে। কিন্তু মাত্র একজন লোককে খুন করার কারণে মুসলমান ও আনন্দবাজারের মতো- সেক্যুলার মুসলমান পাছার গু চাটা- পত্রিকাগুলোর কাছে নাথুরাম গডসে এক মহা ঘাতক; তাদের কথা বলার ভাব দেখলে মনে হয়, পৃথিবীতে এ পর্যন্ত একটাই মাত্র খুন হয়েছে, সেটা গান্ধী, আর তাকে খুন করেছে গডসে, পৃথিবীর সৃষ্টির পর থেকে আর কোনো খুন, কেউ কোনো দিন করেই নি।

এ সম্পর্কে আগে মুসলমানদের পাছায় বাঁশ দিই
, তারপর বাজারি বেশ্যার কাপড় খুলবো।

নাথুরাম গডসে একজন হিন্দু এবং সে খুন করেছে একজন হিন্দুকে। এতে মুসলমানদের এত চুলকানি ও মাথা ব্যথার
কারণ কী ? নাথু তো আর জিন্নাকে খুন করে নি।যখনই হিন্দুদের কোনো ব্যাপারে, কোনো মুসলমানের কোনো আগ্রহ দেখবেন, তখনই বুঝে নেবেন, ঐ ব্যাপারে হিন্দুরা বাঁশ খাচ্ছে বা মুসলমানরা, হিন্দুদের বাঁশ দেওয়ার পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

যেসব মুসলমানের মাথায় কিছু পরিমাণ মাল আছে
, তারা বেশ ভালো করেই জানে যে, গান্ধীর মতো একজন নেতা হিন্দুদের মাথার উপর না থাকলে তারা কিছুতেই পাকিস্তান পেতো না বা পাকিস্তান আদায় করতে পারতো না। গান্ধী, প্রতিটা ক্ষেত্রে মুসলমানদের এতটাই সাপোর্ট করতো যে, একসময় লোকে আড়ালে আবডালে তাকে বলতো মোহাম্মদ গান্ধী। এই গান্ধীর কারণে, কত সহজে, জিন্নাহ যে পাকিস্তান আদায় করতে পেরেছে, তার কিছু উদাহরণ দিচ্ছি:

ভি.পি মেনন তাঁর ট্রান্সফার অব পাওয়ার গ্রন্থের
১৬২ পৃষ্ঠায় বলেছেন, "১৯৪৪ সালে জিন্নার সাথে গান্ধীজির বেশ কয়েক বার সাক্ষাৎ হয়। তিনি সেখানে জিন্নাকে ‌'কায়েদ-এ-আজম' বলে সম্বোধন করেন। কিন্তু গুজরাটি রীতি অনুযায়ী গান্ধীর, জিন্নাহকে, জিন্না ভাই বলে সম্বোধন করার কথা। জিন্না কিন্তু গান্ধীকে, মি. গান্ধী বলেই সম্বোধন করেছিলেন। ঐ সময় গান্ধী, জিন্নার কাছে করুণা ভিক্ষা করে বলেন, "আমি আপনার বা ইসলামের শত্রু নই। আমি আপনাদের দীন সেবক মাত্র। আমাকে দয়া করে ফিরিয়ে দেবেন না।"

এখানে খেয়াল করুন, গান্ধী, জিন্নাকে কায়েদ-এ-আজম বলে সম্বোধন করা শুরু করেছে সেই ১৯৪৪ সাল থেকে। কায়েদ-এ-আজম শব্দের অর্থ "মহান নেতা"। জিন্না কী এমন কাজ করে গান্ধীর কাছে এত মহান হয়ে গেলো ? তার পর গান্ধী বলছে, "আমি আপনার বা ইসলামের শত্রু নই। আমি আপনাদের দীন সেবক মাত্র। আমাকে দয়া করে ফিরিয়ে দেবেন না।"

এখানে গান্ধী, ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু নয়, সেটা ঠিক আছে; কিন্তু গান্ধী, জিন্নার কাছে কী চাচ্ছে, যে জিন্না তাকে ফিরিয়ে দেবে ? আর জিন্নার কাছে বা কী ছিলো, গান্ধীকে দেওয়ার ? মনিব যদি ভৃত্যের কাছে এমন অসহায়ভাবে আত্মসমর্পন করে, তাহলে ভৃত্য তো মনিবের মাথায় উঠবেই এবং তার সম্পত্তির ভাগ চাইবেই। জিন্নাও তাই করেছে। পাকিস্তান চেয়ে, ধমক দিয়ে তা আদায় করে নিয়েছে।

গান্ধীর এই অসহায় ও অপমানকর আত্মসমর্পনে উৎফুল্ল জিন্না
, মুসলিম লীগের কার্যনিবাহী কমিটিকে জানিয়েছিলো, "অবশেষে ভালো এবং সহায়ক অধিকতর প্রগ্রেস হয়েছে। গান্ধী, যেকোনো মূল্যে, তার ব্যক্তিগত ক্ষমতায় ভারতকে ভাগ করার মূল নীতি গ্রহন করেছে।"- মদন গোপাল রচিত, "স্যার ছোটু রাম" গ্রন্থের ১৩৪ পৃষ্ঠায় জিন্নার এই উৎফুল্ল হওয়ার ঘটনাটির বর্ণনা আছে।

শুধু তাই নয়
, লিওনার্ড মোজলি, তার "লাস্ট ডেজ অব ব্রিটিশ রাজ" গ্রন্থের ২৭৪ পৃষ্ঠায় বলেছেন, "হাসতে হাসতে পাকিস্তান পেয়ে অবাক জিন্না তার এ.ডি.সি এর কাছে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, আমি কখনোই আমার জীবনে পাকিস্তান দেখে যেতে পারবো, তা ভাবতে পারি নি।"

বাস্তবে জিন্না যাকে অসম্ভব বলে ভেবেছিলো
, সেই অসম্ভব সম্ভব হয়েছিলো শুধু গান্ধীর কারণে। একারণেই নাথুরাম গডসে তার জবানবন্দীতে বলেছিলো, "গান্ধী, ভারতের নয়, পাকিস্তানের জাতির জনক।"

গান্ধীর অসহায় আত্মসমর্পনের কারণে ভারত ভাগ হলো
, ২০ লক্ষ হিন্দু ও শিখ মরলো, প্রায় ১ লক্ষ মেয়েকে মুসলমানরা ধর্ষণ করলো, পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হলো কয়েক কোটি মানুষ।

ধরে নিলাম
, যা হবার হয়েছে। কিন্ত এর পর গান্ধী কী করলো ?

১৯৪৮ সালে, পাকিস্তান যখন দাবী করে বসলো যে, ভারতের কাছে, যৌথ সম্পত্তির অংশীদার হিসেবে তাদের ৫৫ কোটি রূপী পাওনা আছে। ভারত সরকার সেই দাবী না মানলে, গান্ধী তখন বললো,

"
পাকিস্তানকে ঐ টাকা দিতে হবে, না হলে আমি আমরণ অনশন শুরু করবো।"

যেদিন পত্রিকায় গান্ধীর এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশিত হয়
, সেদিনই গডসে গান্ধীকে খুন করার পাকা সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার বন্ধু নারায়ণ আপতেকে বলে,

"
আর নয়, এবার গান্ধীকে মরতে হবে।"

সেই সময় আরও একটা কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিলো যে
, পাকিস্তানের এর পরের দাবী হলো, ভারতের মধ্যে দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য একটা রাস্তা। গান্ধী, এই রাস্তা দিতেও নাকি রাজী ছিলো।

যা হবার হয়েছে
, এবার অন্তত ভারত তথা হিন্দুদের ক্ষতি বন্ধ করতে হবে, এই বিবেচনায় করেই, নাথুরাম গান্ধীকে বীরের মতোই খুন করে এবং গুলি করার পর সে এক ধাপও না সরে পুলিশ আসার অপেক্ষায় পিস্তলসহ হাত উঁচু করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।

যে গান্ধী মুসলমানদের জন্য এত কিছু করলো
, তাদেরকে একটি দেশ দিয়ে দিলো, বেঁচে থাকলে নিশ্চয় আরও কিছু দিতো। সেই গান্ধী মরলো কিনা একজন প্রকৃত হিন্দুর গুলিতে! গান্ধীকে মারতে গিয়ে যে কি না নিজেকে বলি ই দিয়ে দিলো !

এরকম হিন্দু যাতে আর কেউ তৈরি না হয়
, সেজন্যই মুসলমানদের প্রতিটা লেখায় উল্লেখ থাকে গডসের আগে "ঘাতক" শব্দটি। আসলে এর মাধ্যমে মুসলমানরা একটি সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক প্রতিরোধ করে চলেছে, যাতে আর কোনো প্রকৃত হিন্দু - সেক্যুলার নামধারী মুসলিম তোষকদেরকে খুন করে- মুসলমানদের বাড়া ভাতে যেন আর ছাই না দেয়।

যে বিষয়েই দেখবেন মুসলমানদের আগ্রহ
, নিশ্চয় জানবেন, সে বিষয়েই হিন্দুদের কোনো না কোনো ক্ষতি লুকায়িত আছেই আছে।

মুসলমানরা যে ঘাতক ঘাতক বলে চিৎকার করে গডসেকে ঘাতক প্রমাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে
, ওরা জানে ঘাতক কাকে বলে ? আর পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম প্রথম ঘাতক কে ?

একজন বা দুজনকে খুন করার জন্য কাউকে ঘাতক হিসেবে অভিহিত করা যায় না
; বড়জোর তাকে খুনী বলা যেতে পারে। কিন্তু যার হাতে বা যার নির্দেশে শত শত বা হাজার হাজার নিরীহ, সাধারণ ও নিরস্ত্র লোক নিহত হয়, তাকে বলে ঘাতক। যুদ্ধ ক্ষেত্রে সবাই থাকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এবং একে অপরকে মারার জন্যই তারা যুদ্ধ করে, তাই যুদ্ধ ক্ষেত্রে যত লোকই মারা যাক না কেনো, সেই যুদ্ধের নির্দেশ দাতারা ঘাতক হিসেবে বিবেচিত হয় না। এই সূত্রে ঘাতক কারা, তা নিকটতম অতীত থেকে দূরতম অতীতের ইতিহাস ঘেঁটে তুলে ধরার চেষ্টা করছি :

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার জন্য ঘাতক হিসেবে পরিচিত
, ইয়াহিয়া ও ভুট্টো। এরা কিন্তু দুজনই মুসলমান। প্রসঙ্গ যখন এলো ই, তখন বলে রাখি, ৭১ সালে বাংলাদেশে যে ৩০ লক্ষ মানুষকে খুন করা হয়েছে, এর মধ্যে ২৫ লক্ষ হিন্দু এবং যে ২ লক্ষ মা বোনের কথা বলা হয়, আসলে তা সাড়ে চার লক্ষ, এর মধ্যে প্রায় ৪ লক্ষ মেয়েই হিন্দু।

পাকিস্তানি সেনাদের উপর নির্দেশ ছিলো বেছে বেছে হিন্দুদেরকে খুন করার। দিন শেষে পাকিস্তানি সেনারা যখন ক্যাম্পে ফিরতো
, তখন তারা একে অপরকে জিজ্ঞেস করতো, আজ কয়টা হিন্দু মারলে ? এছাড়া ৭১ সালে রাস্তাঘাটের একটা পরিচিত দৃশ্য ছিলো, লুঙ্গি খুলে বা কাপড় খুলে লিঙ্গ পরীক্ষা করে কে হিন্দু তা নিশ্চিত করে তাকে খুন করা আর লিঙ্গে খতনা করা থাকলে তাকে ছেড়ে দেওয়া। এরকম একটি ছবি নেটে সার্চ করলে পাওয়া যায়। আর সব ছেড়ে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদাররা কেনো জগন্নাথ হলে হামলা করেছিলো, সেই বিষয়টি একবার ভাবুন আর আমার কথার সত্যতা যাচাই করুন। জগন্নাথ হলে হামলা করার একটাই কারণ, ঐ হলের সব ছাত্র ছিলো হিন্দু।

এবার আরেকটু পেছনে যাই।
১৯৪৬ সালের ১০ অক্টোবর থেকে শুরু করে মাসব্যাপী চলা নোয়াখালির হিন্দু নিধন যজ্ঞের মাস্টারমাইন্ড এবং নির্দেশক ছিলো মুসলিম লীগ নেতা গোলাম সারোয়ার। ওই ঘটনায় প্রায় ১ হাজার অসহায় নিরস্ত্র হিন্দু নিহত হয়, ১২ থেকে ৫২ এর প্রায় সকল হিন্দু মেয়ে ধর্ষিতা হয় এবং তখনকার বৃহত্তর নোয়াখালি অর্থাৎ বর্তমানের নোয়াখালি, চাঁদপুর, ফেনী, কুমিল্লা ও ত্রিপুরার কিছু অংশের প্রায় সকল হিন্দুকে জোর পূর্বক মুসলমান হতে বাধ্য করা হয়। সংজ্ঞানুসারে এই গোলাম সারোয়ারও একজন ঘাতক; সে কিন্তু হিন্দু নয়, মুসলিম।

উপরের এই ঘটনার মাত্র ৫৫ দিন আগে
, ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট, কোলকাতায় ডাইরেক্ট এ্যাকশন ডে পালন করে মুসলমানরা প্রায় ২০ হাজার হিন্দুকে হত্যা করে। আর এর রেশ ধরে ঢাকা সহ পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকহাজার হিন্দুকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলো জিন্না এবং এর বাস্তবায়নকারী ছিলো হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। এদেরকে কি মুসলমানদের ঘাতক মনে হয় না ? নাকি "যে মুসলমান, অপর মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আখিরাতে আল্লাহও তার দোষ গোপন রাখবে"- এই হাদিসের কথা মনে করে সোহরাওয়ার্দীর কোনো দোষ ই মুসলমানরা মনে আনতে চায় না ? মানুষ হওয়ার জন্য একটা সুস্থ বিবেক আর সমান দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন দুটো চোখ দরকার। মুসলমানদের তো সেটা নেই। সকল ঘটনাকে ওরা সমান চোখে দেখবে কিভাবে ?

আরেক আগস্টের ঘটনা
, ১৯২১ সালের। কেরালার এই মোপলা বিদ্রোহে প্রায় ২৩০০ হিন্দুকে মুসলমানরা খুন করে, আহত করে প্রায় ৩/৪ হাজার, ধর্মান্তর অগণিত। এটি ছিলো একটি সংঘবদ্ধ আক্রমন। এই সূত্রে ঐ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকটি মুসলমান একেকজন ঘাতক।

ভারতে যত বিদেশি মুসলমান শাসক আক্রমন করেছে এবং যারা ভারত দখল করে শাসন করেছে
, যেমন- মুহম্মদ বিন কাশিম, মুহম্মদ ঘোরী, কুতুবুদ্দিন, আলাউদ্দিন খিলজি, ফিরোজ শাহ, টিপু সুলতান, তৈমুর লং, সুলতান মাহমুদ, বখতিয়ার খিলজি, বাবর, আকবর, ঔরঙ্গজেব এবং অন্যান্যরা, প্রত্যেকেই এক একজন মহা ঘাতক। কারণ এরা প্রত্যেকেই লক্ষ লক্ষ অসহায়, নিরস্ত্র হিন্দুকে হত্যা করেছে।

এবার হাত দিই মুসলমানদের প্রাণ ইসলামে এবং নবীর জীবনীতে। মদীনায় হিজরতের মাত্র ১ বছরের মাথায়
, মুহম্মদ, লোক পাঠিয়ে, তিন ইহুদী কবি- কাব, আকাফ এবং আসমাকে গুপ্তভাবে হত্যা করে। ৫ম হিজরিতে খন্দকের যুদ্ধের পরেই মুহম্মদ কুরাইজা গোত্রের ৮০০ জন ইহুদিকে আলী ও জোবায়েরের মাধ্যমে হত্যা করায়। এই হত্যাকাণ্ড চলে ভোর থেকে শুরু হয়ে পরের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত। মুহম্মদ এক জায়গায় বসে বসে এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে এবং হত্যাকাণ্ড শেষ হলে কুরাইজা গোত্রের সুন্দরী মেয়ে রিহানার সাথে রাত্রি যাপন করে মুহম্মদ তার ক্লান্তি দূর করে।

এরপর উকল গোত্রের ৮ জন ইহুদিকে মুহম্মদ নিজের হাতে - প্রথমে গরম লোহার রড দিয়ে চোখ গেলে দিয়ে
, পরে একে একে তাদের হাত পা কেটে মরুভূমির তপ্ত বালির মধ্যে ফেলে রেখে এবং কাউকে পানি পর্যন্ত দিতে নিষেধ ক'রে - নৃশংসভাবে হত্যা করে।

মুহম্মদ তার মদীনার জীবনে ১০ বছরে ৮২টি যুদ্ধ পরিচালনা করেছে
, এতে কত লোক তার কারণে খুন হয়েছে ? এমনকি মক্কা দখলের পর, যে মক্কা বিজয়কে মুসলমানরা বর্ণনা করে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয়, সেই বিনা রক্তপাতের মধ্যেও ২৮ জন যুদ্ধে নিহত হয় এবং মুহম্মদ ১০/১২ জনকে খুন করায়। এই মুহম্মদকে মুসলমানদের ঘাতক বলে মনে হয় না ? না কি ৭২ হুর সম্বলিত বেহেশত নামক পতিতালয় প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিয়েছে বলে, মুসলমানদের চোখে মুহম্মদের হাজার খুন মাফ ?

ইসলামের ইতিহাসে
চার খলিফার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘাতক হলো আলী। সে সমগ্র জীবনে মোট ৯৮টা যুদ্ধ করে এবং প্রতিটা যুদ্ধেই সে ছিলো প্রধান ঘাতক। কুরাইজা গোত্রের যে ৮০০ জনকে মুহম্মদ খুন করায়, তার মধ্যে আলী হত্যা করে কমপক্ষে ৪০০ জনকে এক দিনে। এছাড়াও ৯৮টা যুদ্ধে সে কতজন অসহায় নিরস্ত্র মানুষকে খুন করেছে, সেই বিষয়টা একবার চিন্তা করুন। এখানে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখবেন, ইসলামের যুদ্ধ মানেই মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের মতো ঘোষণা দিয়ে ১ মাস ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পর নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যুদ্ধ নয়, ইসলামের যুদ্ধ মানেই ভোর বেলা কোনো অমুসলিম জনবসতির উপর অতর্কিতে হামলা, খুন, লুঠপাট ও ধর্ষণ।

মুসলমানদের হিসাব মতেই
, মুহম্মদের শেষ হজ অর্থাৎ বিদায় হজে মোট জনসমাগম হয়েছিলো ২ লক্ষ। এর মানে হলো, তখন সমগ্র আরবের লোকসংখ্যা ছিলো ২ লক্ষ। কেননা, প্রাণের ভয়ে মুহম্মদ অধিকৃত এলাকার সকল লোক ওই বিদায়ের হজের ভাষণে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলো। তো যেই সময় সমগ্র আরবে মাত্র ২ লক্ষ মানুষ, সেই সময় মুহম্মদের কারণে মারা গেছে কম করে হলেও ১ হাজার মানুষ। আজ আরবে ২ কোটি মানুষ বাস করে। এই হিসেবে ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দের ১ হাজার মানুষ = বর্তমানের ২ লক্ষ মানুষ। এছাড়াও ইসলামের আবির্ভাবের পর থেকে মুসলমানরা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ইহুদি সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ কোটি মানুষকে হত্যা করেছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি ই হিন্দু। পৃথিবীর ইতিহাসে, ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দের আগে, কোনো এক ব্যক্তির নির্দেশ ও পরিচালনায় এতগুলো নিরস্ত্র ও অসহায় লোক কখনো মারা যায় নি। এই হিসেবে, অন্য কেউ নয়, একমাত্র মুহম্মদ এবং মুহম্মদই পৃথিবীর প্রথম ঘাতক।

তো এই মুসলমানরা
, যাদের নবী একজন মহা ঘাতক, খলিফারা ঘাতক, প্রতিটা মুসলমান শাসক একেকজন ঘাতক এবং প্রত্যেকটা মুসলমান ব্যাক্তিগতভাবে মনে প্রাণে একেকজন ঘাতক, সেই ঘাতক মুসলমানরা, মাত্র একজন লোককে খুন করার কারণে নাথুরাম গডসেকে বলে ঘাতক এবং সেটা নিয়ে কুকুরের মতো বছর জুড়ে ঘেউ ঘেউ করতেই থাকে।

প্রকৃতপক্ষে
, এটা করে হিন্দুদেরকে তারা মানসিকভাবে দুর্বল ক'রে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়ে যেতে চায়; যাতে আর কোনো নাথুরাম গডসের জন্ম না হয় এবং মুসলমানদের আগ্রাসনের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু নাথুরাম যে পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছে, সেই পথের পথিক হিসেবে আরো নাথুরামের জন্ম হবে এবং তারা হিন্দুদের উপর মুসলিম আগ্রাসন শুধু রুখবেই না, হিন্দুদের উপর হওয়া হাজার বছরের অত্যাচারের বদলাও নেবে, এটা নিশ্চিত।

এবার নজর দেওয়া যাক
, বাজারি বেশ্যার দিকে। এই পত্রিকা বা এই ধরণের পত্রিকাগুলো কেনো হিন্দুদের সাথে এমন করে বা করছে ? হিন্দু স্বার্থের ব্যাপারে এরা কেনো এত উদাসীন ? আর মুসলিম স্বার্থ রক্ষা করতেই বা এরা এত বেপরোয়া ও উদগ্রীব কেনো ? কেনো মুসলমানদের বক্তব্য এবং এইসব বাজারি পত্রিকার বক্তব্য প্রায় হুবহু এক ? কেনো মুসলমানদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকেই এরা বারবার হাইলাইটস করতে থাকে ?

দুটো তথ্য জানলে এই পুরো বিষয়টা আপনাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়, আনন্দবাজার পত্রিকার এক সম্পাদক পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সাথে গলফ খেলেছিলো। এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, এই পত্রিকাগুলোর সুতো বাঁধা কোথায় ?

কিন্তু এর শেকড় আরো অনেক গভীরে।

সৌদী আরবের রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহমেদ টোটেনজী ১৭.৯.১৯৮২ তারিখে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরে
, জামাত-ই-ইসলাম কর্তৃক আয়োজিত এক জনসভায় বলেছিলো, "ভারতবর্ষের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো নীতিজ্ঞান শুন্য। এই দলগুলির নেতারা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য পৃথিবীর এমন কোনো হীন কাজ নেই যা তারা করতে না পারে। ভারতীয় নেতা, সংবাদ মাধ্যম এবং মেকী ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে হিন্দু বিরোধিতা করার জন্য ২৫০ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মধ্যে এর আশাতীত ফল পাওয়া গেছে। এরা এখন থেকে নিরন্তর হিন্দু সংগঠগুলির সাথে লড়াই চালিয়ে যাবে। যখন ভারতবর্ষে মুসলমানরা ২০ থেকে ২৫ কোটিতে পৌঁছবে, তখন আমরা অতি সহজেই হিন্দু সংগঠনগুলিকে শেষ করে দিয়ে ভারত দখল করতে পারবো।"

মুসলমানদের সাথে তাল মিলিয়ে কেনো মিডিয়াগুলো নাথুরামকে ঘাতক হিসেবে উল্লেখ করে
, এবার নিশ্চয় সেটা বুঝতে পেরেছেন ।

এখন টোটেনজীর উপরের ওই বক্তব্যের সাথে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির হুমকির এই বিষয়টি মিলিয়ে দেখুন
, "ভারতের সরকার ১৫ মিনিটের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে তুলে নিলে আমরা মুসলমানরা সব হিন্দুকে শেষ করে দিতে পারবো।"

ভারতে বর্তমানে মুসলমান সংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। সংবাদ মাধ্যম
, সেক্যুলার রাজনৈতিক দল এবং ভারতীয় মুসলমানদের নিয়ে মুসলিম উম্মাহ কিন্তু রেডি হয়ে আছে সব হিন্দুকে খতম করে দিয়ে ভারতে আবার ইসলামিক পতাকা উড়ানোর জন্য।

আমরা কি রেডি
, নিজে বাঁচার জন্য ও ভারতকে রক্ষা করার জন্য ?

একটি সুস্থ ও ভালো বুদ্ধির মাথা যেমন সমাজ ও স্বজাতিকে উন্নতির পথে নিয়ে যায়
, ঠিক তেমনি একটি পচা মাথাও সমাজ স্বজাতির ধ্বংস ডেকে আনে, যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ নেহেরু ও গান্ধী। কিন্তু পচা মাথার বৈশিষ্ট্য হলো, তা কখনোই সুস্থ হয় না এবং অন্য সুস্থ মাথাতেও সংক্রমন ঘটায়। এজন্য সেক্যুলার নামের এইসব পচা মাথার কবল থেকে হিন্দু জাতিকে রক্ষার একমাত্র উপায় হলো, মহাভারতের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ অনুসারে সকলকে একেবারে বিনাশ করে দেওয়া।

কাউকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে দেওয়ার পরেও
, তার সেই স্বাধীন চিন্তার ফল, যখন তার নিজ সমাজ-ধর্ম ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, সর্বোপরি জাতিকে হীনদুর্বল ও আত্মরক্ষায় অসমর্থ করে দেয়, তখন তার চিন্তা করার ক্ষমতাকেই কেড়ে নেওয়া উচিত ।

তাই যত দ্রুত সম্ভব হিন্দুদের উচিত
, সেক্যুলারদের এই চিন্তা করার ও তা প্রকাশ করার ক্ষমতাকে কেড়ে নেওয়া। না হলে মুসলিম উম্মাহর ষড়যন্ত্রে পড়ে, এই সেক্যুলারদের মাধ্যমেই, হিন্দু জাতির সকলের, ধ্বংস হওয়া অনিবার্য।

জয় হিন্দ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পয়েন্ট টু পয়েন্ট : মুসলমানদের মিথ্যাচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব

পয়েন্ট টু পয়েন্ট : মুসলমানদের মিথ্যাচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব ফটো হিসেবে এই প্রবন্ধের সাথে যেটা যুক্ত করেছি , তার জবাব দেওয়া ই আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য। তাই কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক: ফটোপোস্টের শুরুতেই লিখা হয়েছে , “ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই , কোন প্রতিমূর্তি নেই , কোন প্রতিকৃতি নেই , কোন রূপক নেই , কোন ফটোগ্রাফ নেই , তাঁর কোন ভাস্কর্য নেই। ” এর রেফারেন্স হিসেবে লিখা হয়েছে , “ শ্বেতাসত্র উপনিষদ , অধ্যায় ৪ , পরিচ্ছেদ ১৯ এবং যযুর্বেদ অধ্যায় ৩২ , অনুচ্ছেদ ১৯। ” এবার দেখা যাক , সত্যিই সেখানে কী লিখা আছে এবং তার প্রকৃত অনুবাদটা কী ? রেফারেন্স হিসেবে প্রথম বইয়ের নাম লিখা হয়েছে , “ শ্বেতাসত্র উপনিষদ ”, কিন্তু এর নাম প্রকৃতপক্ষে “ শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ”, লিখেছে তো কোনো এক মুসলমান , তার কাছ থেকে আপনি আর কত শুদ্ধ বানান আশা করতে পারেন ? রেফারেন্সের বাকি অংশে লিখা হয়েছে- “ অধ্যায় ৪ , পরিচ্ছেদ ১৯ ”, অধ্যায় ৪ ঠিক থাকলেও এই উপনিষদে অনুচ্ছেদ বলে কিছু হয় না , এটি হবে আসলে শ্লোক নং ১৯। শুধু এই রেফারেন্সেই নয় , প্রতিটি রেফারেন্সেই দেখবেন কিছু না কিছ...

বেদ এ ‘‘পিতা তার মেয়ের সাথে অশ্লীলকর্মে লিপ্ত’’- =>এছাড়া মা- ছেলে দূষ্কর্ম, এমন বিশ্রি বর্ণনা যেই গ্রন্থে তা কি করে সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে ?”

“ রিগবেদ ---- অধ্যায় - ৩ , খন্ড - ৩১ , শ্লোক : ১ - ২ ‘‘ পিতা তার মেয়ের সাথে অশ্লীলকর্মে লিপ্ত ’’- => এছাড়া মা - ছেলে দূষ্কর্ম , এমন বিশ্রি বর্ণনা যেই গ্রন্থে তা কি করে সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে ?” ঠিক এই প্রশ্নটিই করেছে Md Alhaz Hosain নামের এক মুসলমান আমার এক পোস্টের কমেন্ট বক্সে। বেদ এ্রর এই বাণীতে আসলেই কী বলা হয়েছে , সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পাবেন আমার এই পোস্টে : ফেসবুকে মুসলমানদের কমেন্ট মানেই গালাগালি , খিস্তি। এ থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার যে , মুসলমানরা যুক্তি বোঝে না। কারণ , যারা যুক্তি বোঝে তারা যুক্তি দিয়ে কথা বলে , প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে তাদের গালি - গালাজের প্রয়োজন হয় না। এজন্য তথ্য রেফারেন্স দিয়ে লেখার পরও যারা সেসবে নজর না দিয়ে গালাগালি করে তাদের কমন্টেকে আমি রাস্তার পাগলা কুত্তার ঘেউ ঘেউ বলেই মনে করি , তাই সেগুলোকে কোনো গুরুত্বই দিই না। কিন্তু আজকে যে কমেন্টটির উত্তর দিচ্ছি , সে বেশ ভদ্রভাবেই কথাগুলো তুলে ধরেছে ; তাই তার লেখার জবাব দিচ্ছি , যদিও পাগলা...

হিন্দুদের এত দেবতা, আসলে কোনটা বড় ?

হিন্দুদের এত দেবতা , আসলে কোনটা বড় ? এবং ইসলাম নাকি সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম ! উপরের এই দুটো প্রসঙ্গসহ মুসলমানদের করা আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে জানতে চেয়ে ছিলো Pritam Das নামের আমার এক ফেসবুক বন্ধু। শুরুতেই দেখে নিন সেই প্রসঙ্গগুলো- মুসলমানরা বলে যে , একটা হাতির মুখ মানুষের শরীরে কি করে বসানো যায় ? কী যুক্তি আছে এটার পেছনে ? আর সেইটাকে তোমরা হিন্দুরা আবার পূজাও করো! আবার সেই গনেশের একটা কলা গাছ বউও আছে। তারপর হুনুমান কী করে উড়তে পারে ? কী করে একাই একটা লংকা জ্বালিয়ে দিতে পারে ? এছাড়াও বলে যে ইসলাম নাকি পৃথিবীর প্রাচীন ধর্ম , হিন্দু ধর্ম অনেক পরে এসেছে। পৃথিবী কবে শেষ হবে তা নাকি ওদের কোরানে লেখা আছে। আর মাঝে মধ্যে প্রায় জিজ্ঞেস করে হিন্দুদের এত দেবতা , আসলে কোনটা বড় ? কোনো না কোনো তো একটা বড় দেবতা হয়েই যায়। সবাই তো এক দেবতা পূজা করে না। কেউ কেউ তো আলাদা পূজা করে , তাহলে হিন্দুদের মধ্যে দেবতা নিয়ে একতার অভাব। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি... এবার দেখুন আমার জবাব: মুসলমানরা হিন্দুদেরকে ধর্ম বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করে , ঠিকঠাক সেই প্রশ্নগুলোর জবাব দিতে না...